নিজস্ব প্রতিবেদক: আইন লঙ্ঘন করে ব্যক্তি লাভের উদ্দেশ্যে হাজী ইসমাইল ট্রাস্ট ভেঙে ট্রাস্টের সম্পত্তি অবৈধভাবে বিক্রি চেস্টার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ অভিযোগ করেন শহরের উত্তরকাটিয়া এলাকার মৃত নজরুল ইসলাম ছেলে মো. আজহারুল ইসলাম লিটন। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমার মাতা আক্তারি বেগমের একটি পা ভেঙে যাওয়ার তার পক্ষে আমি জানাচ্ছি যে, আমার নানা মরহুম গোলাম আকবরের বড় কন্যা আক্তারি বেগম এবং দ্বিতীয় কন্যা মোস্তারি বেগম। আমার নানা জীবিত থাকা অবস্থায় গোলাম আকবর, তার স্ত্রী এবং ৭ সন্তানদের নিয়ে সদর সাবরেজিস্ট্রি অফিস হতে ১৪/০৫/১৯৯৬ তারিখে ২৬২৬, ২৬২৭ নম্বার ২টি দলেল হাজী ইসমাইল ট্রাস্ট গঠন করেন। ট্রাস্টের উপদেষ্টা পদাধিকার বলে জজ বাহাদুর, চেয়ারম্যান আবুল ফজল এবং সেক্রেটারী আবুল আহসান। ট্রাস্টের শর্তানুযায়ী ট্রাস্টভুক্ত সম্পত্তির উপর ট্রাস্ট দাতা/ গ্রহীতাগণ তাদের ওয়ারেশগণ কোন ব্যক্তিগত মালিকানা স্বত্বের দাবি করতে পারবে না। ট্রাস্টের সুবিধা নিতে পারবে কিন্তু ট্রাস্ট ভুক্ত সম্পত্তি কোনভাবেই বিক্রয় করতে পারবে না। কিন্তু গোলাম আকবরের ৬নং পুত্র আবুল বাসার একটি কথিত ডিপি খতিয়ান তৈরি করে ট্রাস্টের নিয়ম ভেঙে তা বিক্রয়েরর পায়তারা করে যাচ্ছেন। এছাড়া দুই বোনকে অবগত না করে বা বিবাদী না করে একটি সোলে তৈরি করেছেন। যা আইন ও আদালতের পরিপন্থি। এদিকে মরহুম গোলাম আকবর ট্রাস্টগঠনের পরে যশোরের একটি বাড়ি ৩য় পুত্র আবু আব্দুল্লাহ’র নামে লিখে দেন এবং সে সময় ট্রাস্টের সুবিধা পাবেন না বলে ট্রাস্টের মধ্যে লিপিবদ্ধ করা হয়। যেকারনে তিনি সাতক্ষীরার জমি জমার কোন অংশ পাবেন না। কিন্তু আবু আব্দুল্লাহ মারা যাওয়ার পর তার আব্দুল্লাহ আল আসিফ লোভের বশবর্তী হয়ে আবুল বাসারের সাথে যোগসাজস করে ট্রাস্টের সম্পত্তি বিক্রির চক্রান্ত চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি বলেন যেহেতু ট্রাস্টভুক্ত সম্পত্তি বিক্রয় বা হস্তান্তর করার সুযোগ নেই। কিন্তু আবুল বাসার বিভিন্ন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে কৌশলে উক্ত সম্পত্তি বিক্রয়ের নামে অর্থ হাতিয়ে নিতে পারে। সে কারনে আমার মাতা এবং মামাদের পক্ষ থেকে ট্রাস্টভুক্ত সম্পত্তি ক্রয় থেকে বিরত থাকার জন্য সকলের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি। সাথে সাথে উক্ত আবুল বাসারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। ট্রাস্টভুক্ত সম্পত্তি : কাটিয়া, পুরাতন বাড়ী, হাজী বাড়ী। কাটিয়া টাউন বাজার ফাঁড়ি সংলগ্ন বাড়ী। কাচারীপাড়া পোস্ট অফিসের সামনে বাড়ী ডি পি খতিয়ান কাটিয়া মৌজা ৪২৪ ও ১১২৮ খতিয়ানের ট্রাস্ট ভুক্ত জমি। আপীল ৬৮/২১ মামলার রায়ে হাজী ইসমাইল ট্রাস্ট চলমান আছে। বাদী মোহাম্মদ মহাসীন, বিবাদী আবুল বাসার, পিং- গোলাম আকবর, উক্ত জমি ক্রয়-বিক্রয় বা হস্তান্তর যোগ্যনহে। এস এ দাগ : ১৩৮৭, ১৩৬১, ১৪০৯, ১৪১০, ১৪১৩, ১৩১৪১১, ১৪১২, ২৩৭৩, ১৪৪৭, ১৪০৭। ট্রাস্টের আয়ের খাত: ৩০% অর্থের দ্বারা উক্ত সম্পত্তির ও বাড়ীঘর সহকারী খাজনা ট্রাক্স, মেরামত, গোরস্থান ও নামাজের ঘর সংরক্ষণ ইত্যাদি ব্যায় চালাতে হবে। পরবর্তী ৩০% অর্থের দ্বারা আমাদের পূর্ব পুরুষগণের রুহের মাগফেরাত এবং আংশিক দাতব্য কাজে ব্যয় সহ আরবি মাসের প্রথম তারিখে মিলাদ মাহফিল ও তাবরুক বিতরণ, রমজান মাসে তারাবি, কোরাম খতম ইফতারি ও বৎসরে ২ বার গরিব দুস্থদের মধ্যে অন্ন বিতরণ নামাজের ঘরে আযান, আকামত এবং আলো পানির সুবন্দোবস্ত রাখিতে হইবে। আর তপশীল সম্পত্তির অবশিষ্ট ৪০% আয় ট্রাস্টের ফান্ডে জমা রাখিতে হইবে। বংশধরগণের মধ্যে কারো আর্থিক অবস্থা দারিদ্র সীমার চলে যায় তকে অত্র তহবিল হতে দান কার্জে হাসনা দেওয়া চলবে। বংশের কোন মেধাবী উচ্চ শিক্ষার প্রয়োজনের যদি আর্থিক সাহার্য্য দাবি করেন তবে অত্র ফান্ড হতে তাকে এককালীন বা মাসে মাসে সাহায্য দিতে পারবে। সাতক্ষীরা সদর সেটেলমেন্ট অফিসের প্রতারণা মূলকভাবে মিস ৬৬৬/২০২২ নং মামলায় প্রজাস্বত্ব বিধিমালার ৪২(ক) ধারা মতে রেকর্ড সংশোধিত গত ইংরেজি ২৮/০৮/২০২২ তারিখে উক্ত রায় ও আদেশের কার্যকারিতা স্থগিত করেছেন।