নিজস্ব প্রতিবেদক: কলারোয়া উপজেলার গয়ড়া গ্রামে আদালতের নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গ করে চলছে জমি জবর দখলের কাজ। পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে অস্ত্র মামলার আসামী মিজানুর রহমান ও তার সহযোগিরা সম্প্রতি এ জবরদখলেল প্রক্রিয়া চালিয়ে যাওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন মামলার বাদি মোঃ কামরুজ্জামান।
কলারোয়া উপজেলার গয়ড়া গ্রামের হযরত আলী গাজীর ছেলে মোঃ কামরুজ্জামান জানান, ১৯৭৭ সালের ২ নভেম্বর তার বাবা দক্ষিণ গয়ড়া মৌজার সাবেক ২৫২ খতিয়ান ও ৯৪৪ দাগের সাড়ে ১৬ শতক জমি ৫৩২৬ নং রেজিষ্ট্রি কোবালা দলিল মূলে খরিদ করেন। এরপর সেখানে একটি আধা পাকা টিনের তৈরি ঘর নির্মান করে গাছ গাছালি ও ফসলাদি লাগিয়ে ভোগদখলে রয়েছেন। ওই জমি বর্তমান মাঠ জরিপে তাদের(কামরুজ্জামান) নামে রেকর্ড হয়। একই গ্রামের ইমান আলীর ছেলে ২০০৬ সালে পিস্তলসহ গ্রেপ্তারকৃত মিজানুর রহমান একই দাগে তার জমি আছে দাবি করে তাদের (কামরুজ্জামান) জমি দখলের চেষ্টা চালায়। গত ৮ আগষ্ট তাদের জমি মিজানুর রহমান ও তার সহযোগিরা জোরপূর্বক ঘেরা বেড়া দিয়ে ঘিরে নেওয়ার চেষ্টা করলে তারা বাধা দেন। বাধ্য হয়ে তিনি বাদি হয়ে মিজানুর রহমানসহ ৫ জনের নাম উল্লেখ করে তিনি সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা ম্যােিজেষ্ট্রট আদালতে ১৬২৩ নং পিটিশন মামলা দায়ের করেন।
বিচারক রশিদ রেজা আগামি ২৭ অক্টোবরের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য কলারোয়া উপজেলা সহকারি কমিশনারকে (ভূমি) নির্দেশ দেন। একই সাথে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য কলারোয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন। সে অনুযায়ি কলারোয়া থানা ও সহকারি ভূমি কমিশনারের পক্ষ থেকে উভয়পক্ষকে পৃথক পৃথক নোটিশ দেওয়া হয়। এরপরও দুগ্র্াপুজা চলাকালিন সময়ে ৩ ও ৪ অক্টোবর পুলিশ শারদীয়া দুর্গা পুজার দায়িত্ব পালনে ব্যস্ত থাকায় সে সূযোগে তাদের জমি দখল করে তাদের (কামরুজ্জামান) জমিতে বাঁশের ও কাঠের বেড়া দিয়ে সেখানে টিনের চাল লাগিয়ে জমি জবর দখলের চেষ্টা করে। পরবর্তীতে পুলিশ এসে জানতে চাইলে মিজানুর রহমান জানায় যে, যা বলার তিনি আদালতে বলবেন। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মিজানুর রহমান ১৫ বছর আগে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার হওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, তিনিও ১৪৫ ধারায় মামলা করেছেন একই জমি নিয়ে। তবে আপোষ সূত্রে যে জমি দখল করে আসছেন প্রতিপক্ষরা তা না মেনে রেকর্ড মূলে তার জমি দখলের চেষ্টা করছে। তাই তিনি ঘর বেঁধেছেন নোটিশ না মেনেই। যা বলার আদালতে বলবেন।