কলারোয়া প্রতিবেদক: অনৈতিক কর্মকান্ডে লিপ্ত থাকার অভিযোগে কলারোয়ায় এবি (আবুল বাশার) পার্ক থেকে ৪ নারী ও ৫ জন পুরুষকে গ্রেফতার করেছে কলারোয়া থানা পুলিশ। শনিবার ২৩ নভেম্বর বিকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মুনির উল গিয়াসের নির্দেশে কলারোয়া থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) রাজিবুল হকের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঐ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযান চালিয়ে অসামাজিক কাজে লিপ্ত থাকা অবস্থায় ৪ জন ভাসমান পতিতা ও ৪ জন খদ্দেরকে হাতে নাতে ধরে ফেলে পুলিশ সদস্যরা। সে সময়ে ঐ পার্কের মানেজার স্থানীয় কয়লা ইউনিয়নের আলাইপুর গ্রামের মৃত ওমর আলীর পুত্র শহর আলী (৫০) কে অপকর্মের স্থান থেকে আটক করা হয়। সে সময়ে এবি পার্কের মালিক যুগিখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আবুল বাশার পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। তবে পার্কের মালিক আবুল বাশার সহ ১০ জনের নামে মানব পাচার প্রতিরোধ আইনের ১২(১)/১৩ ধারায় কলারোয়া থানায় একটি মামলা হয়েছে এবং ধৃত ঐ ৯ জন আসামীকে ২৪ নভেম্বর তারিখে সাতক্ষীরা জেল হাজতে পাঠিয়ে দিয়েছে কলারোয়া থানা পুলিশ। এ ব্যাপারে অভিযানে নেতৃত্ব দেয়া ইন্সপেক্টর রাজিবুল হক জানান দীর্ঘ দিন যাবত ঐ পার্কটিতে অবৈধ ও অসামাজিক কর্মকান্ড সহ জুয়ার আসর বসতো পার্কের ভিতরে এবং রীতিমতো পাহারা পুলিশকে পাহারা দিয়ে একাজ চালাতো। তাই গোপন সংবাদ পেয়ে ঐ পার্কে অভিযান পরিচালনা করে এর সত্যতা পেয়েছি এবং ৪ নারী সহ ৯ জনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি। তিনি আরো জানান ঐ পার্কের মধ্যে ছোট ছোট অনেক গুলো অস্থায়ী ঘর আছে যার মধ্যে ঘন্টায় ১ হাজার টাকা চুক্তিতে পার্কের মধ্যে অবস্থান করা ঐ ভাসমান পতিতাদের খদ্দের এর কাছে ভাড়া দেয়া হয় এবং সে সময়ে ঐ ঘরের বাহির থেকে তালা লাগিয়ে দেয়া হয় এবং ঘন্টা পুরা হলে তালা খুলে দেয় পার্ক কর্তৃপক্ষ। এছাড়াও পার্কের মধ্যে বিভিন্ন কৃত্রিম ভাবে আড়াল করে রাখা আছে সেখানে প্রবেশ করলে ৫ শত টাকা ভাড়া দিতে হয় পার্কে আগন্তুক স্কুল কলেজে পড়ুয়া প্রেমিক প্রেমিকাদের। যেখানে সব ধরনের অপকর্ম চলে। দুর থেকে দেখে বোঝার কোন উপায় নেই যে ঐ আস্তানায় কোন মানুষ আছে।
কলারোয়া থানা হতে ১৪ কিলোমিটার দূরে প্রত্যান্ত গ্রামাঞ্চলে ২০১৪ সালে এই পার্কটি ভ্রমণ পিপাসুদের সামান্য বিনোদনের জন্য এই পার্কটি তৈরী করা হলেও মূলত অনৈক কর্মকান্ড চলে আসছে সেই থেকে অদ্যাবধি পর্যন্ত। এলাকার স্কুল কলেজ পড়ুয়া কোমল মতি ছেলে মেয়েরা নষ্ট হয়ে যাওয়ার অভিযোগে অনেক সামাজিক আন্দোলন করে আসছে এলাকাবাসী। এই অবৈধ কাজের সাথে স্থানীয় অনেক রাজনীতিবিদদের ইন্ধন থাকায় সে সব সামাজিক আন্দোলন শুরুতেই শেষ হয়ে গেছে। থানা সদর থেকে দূরে হওয়ার কারনে পুলিশ প্রশাসন ও সেখানে গিয়ে হাতে নাতে কাউকে ধরতে পারেনি।এলাকাবাসীর দাবী এই পার্কটি যেন একে বারে বন্ধ করে দেওয়া হয়। তাহলে এলাকার পরিবেশ রক্ষা হবে এবং আমরা আমাদের স্কুল কলেজ পড়ুয়া কোমল মতি ছেলে মেয়েদের সঠিক ভাবে পরিচালনা করতে পারবো। কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মুনির উল গিয়াস ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।