কিশোর কুমার:সরকারি খাল অবৈধ দখল করে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করে মৎস্য চাষ করায় তালা উপজেলার খলিষখালী ইউনিয়নের পাকশিয়ার ২১শ বিঘা জমিতে স্থায়ী জলবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। ফলে আসন্ন ইরি মৌসুম আবাদ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এলাকার অবৈধ দখলদারদের নেট-পাটা অপসারন ও উচ্ছেদের দাবীতে এলকার কয়েকশ’ কৃষক রবিবার খলিষখালী ভূমি অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেছে। বিগত ৭ দিন ধরে জেলা প্রশাসকের নির্দেশ উপক্ষিত হয়য়ায় এলাকার মানুষ বিক্ষুদ্ধ। এলকাবাসী জানায়, তালা উপজেলার খলিষখালী মৌজায় পাকশিয়া গ্রামে ৪০৯৯, ৪১০৯, ১৬৪৮, ১৬৯৫ দাগের বারানগর গ্রামের কালিপদ মন্ডলের পুত্র প্রদীপ মন্ডল, টিকারামপুর গ্রামের আমীর সরদারের পুত্র মিনারুল সরদার, বয়ারডাংগা গ্রামের বীরেন্দ মন্ডলের পুত্র নির্মল মন্ডল একই গ্রামের মোহর আলী মোড়লের পুত্র হেকমত মোড়ল গং অবৈধ বেড়িবাঁধ ও নেট পাটা দিয়ে মৎস্য চাষ করে আসছে। ফলে ইরি মৌসুমের আবাদ অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে। গত ১ সপ্তাহ আগে কৃষকরা এর প্রতিকার চেয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করেন। জেলা প্রশাসক তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদের জন্য খলিষখলী ভূমি কর্মকর্তাকে নির্দেশ প্রদান করেন। কৃষক নেতা আব্দুল মজিদ গোলদার জানান, জেলা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশের পরও খলিষখালী ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা অরুন কুমার পাল নির্দেশ পালন না করে অবৈধ দখলদারদের পক্ষ নিয়েছে। ফলে আসন্ন ইরি মৌসুমে বীজতলা তৈরী করতে না পারায় ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে এলকার কৃষকরা। এ কারনে রবিবার অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদের দাবীতে খলিষখালী ভূমি অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ করে এলাকার শত শত কৃষক। এসময় খলিষখালী ইউপি চেয়ারম্যান সেখানে গিয়ে কৃষকদের সাথে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। এসময় তিনি খলিষখালী ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তাকে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার জন্য বলেন ও কৃষকদের আশ^স্থ করেন।
বিষয়টি নিয়ে খলিষখালী ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তার অরুন কুমার পালের সাথে কথা হলে তিনি এ প্রতিবেদককে জানান, দখলদাররা প্রভাবশালী হওয়ার কারণে আমি ব্যর্থ হয়ে আমার উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবগত করেছি। তারা পরবর্তী নির্দেশ প্রদান করলে আমি পদক্ষেপ গ্রহন করব। এমতাবস্থায় জলবদ্ধতা নিরসনে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদের জন্য জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেএলাকাবাসী।