
বিভিন্ন সেক্টরকে জিম্মি করে চলছে বে-শুমার চাঁদাবাজি;
আহাদুর রহমান জনি: অনিবন্ধিত ও অবৈধ অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেতনা নদী খনন নিয়ে অপপ্রচারে মেতেছে একটি মহল। গতকাল সাতনদীতে ‘বেতনার সাড়ে ২৩ কিলোমিটার খননে বরাদ্দ হয় ৫০ কোটি’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। যাতে বেতনা খননের জন্য বরাদ্দের আসল চিত্র উঠে আসে। অথচ ওইসব অনিবন্ধিত ও অবৈধ অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একই কাজের জন্য ৪৭৫ কোটি টাকা বরাদ্দের কথা প্রচার করা হচ্ছে যা সমাজে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।
সাতক্ষীরার বেতনা নদীতে খননের জন্য ৪৪ কিলোমিটার এলাকা চিহ্নিত করা হয়। তবে তার অর্ধেক সাড়ে ২৩ কিলোমিটার খননের জন্য তিন প্যাকেজের মাধ্যমে টেন্ডার হয়। সে অনুযায়ী খনন কাজ চলমান আছে। যা আগামী জুনে শেষ হবে। অপরদিকে ওই ৪৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাকি সাড়ে ২০ কিলোমিটার খননের জন্য টেন্ডার প্রক্রিয়া চলমান আছে।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড সাতক্ষীরা জেলা কার্যালয়ের পওর বিভাগ-২ সূত্রে জানা যায়, প্রথম প্যাকেজে বেতনা খনন হচ্ছে কলারোয়া বাজার থেকে ঝাউডাঙ্গা পর্যন্ত সাড়ে ৭ কিলোমিটার। যার প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে ১০ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। এই প্যাকেজে প্রায় ৭ লক্ষ কিউবিক মিটার নদীর পলি অপসারিত হবে। এ অংশে ভ‚-পৃষ্ট থেকে -.৭৯০ মিটার গভীর আছে। যা খননের পর -২.৩৮ মিটার গভীরতায় শেষ হবে। এই ধারাবাহিকতা তৃতীয় প্যাকেজের শেষ পর্যন্ত -৩.০৩ মিটার পর্যন্ত গভীর হবে।
দ্বিতীয় প্যাকেজে বেতনা খনন হচ্ছে ঝাউডাঙ্গা থেকে রাজনগর পর্যন্ত সাড়ে ৭ কিলোমিটার। যার প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে ১৩ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। এই প্যাকেজে প্রায় ৯ লক্ষ ৭১হাজার কিউবিক মিটার নদীর পলি অপসারিত হবে।
তৃতীয় প্যাকেজে বেতনা খনন হচ্ছে রাজনগর থেকে শাল্যে পর্যন্ত সাড়ে ৮ কিলোমিটার। যার প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে ২৬ কোটি ১৩ লাখ টাকা। এই প্যাকেজে প্রায় ১৯ লক্ষ ২৩ হাজার কিউবিক মিটার নদীর পলি অপসারিত হবে।
শুধু বেতনা নদী খননের ইস্যু নয়, জেলার সকল উন্নয়ন প্রকল্প, রাজনৈতিক অঙ্গন, নারী শিশু পাচার থেকে চোরাই ঘাট পরিচালনা, আদম পাচার, অস্ত্র-সোনা পাচারকারী সিন্ডিকেট, জেলার খাদ্য ও স্বাস্থ্য বিভাগ, মাদক সিন্ডিকেট ও ভোমরা বন্দরের কাস্টমস ও বন্দর কর্তৃপক্ষ এসব সেক্টরের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের কৌশলে জিম্মি করে অনিবন্ধিত ও অবৈধ নিউজ পোর্টালগুলোর নামে বেশুমার চাঁদাবাজি চলছে জেলা জুড়ে। এর মধ্যে অধিকাংশরাই এসব করে কোন রকমে জীবন জীবিকা নির্বাহ করছে। তবে চিহ্নিত একটি অবৈধ নিউজ পোর্টালের পরিচালক এসব সেক্টরকে জিম্মি করে শুধু জীবন-জীবিকা নয় সম্পদের পাহাড় গড়ছে। অনুসন্ধানে ইতোমধ্যে চাঞ্চল্যকর এসব তথ্য সাতনদীর হাতে উঠে এসেছে।