নিজস্ব প্রতিবেদক: অনেক বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে অবশেষে বিদ্যুতের আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে চরযমুনার অর্ধশত পরিবার। মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) বিকেলে চরযমুনা গ্রামে গেলে ওই গ্রামের সহজ সরল মানুষের মধ্যে আনন্দের হাসি দেখা যায়।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, কালিগঞ্জ উপজেলা থেকে সামান্য দূরে নদীর পাশে অবস্থিত চরযমুনা গ্রাম। এ গ্রামটিতে একটি মসজিদসহ বহু লোকের বসবাস। কিন্তু দুঃখের বিষয় গ্রামটিতে ৩ বছর পূর্বে বিদ্যুতের খুঁটি স্থাপন হলেও অজ্ঞাত কারণে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হচ্ছিল না। যার কারণে ওই এলাকার প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম কেটেছে বিদ্যুৎহীন। দেশের সর্বত্র বিদ্যুৎ থাকলেও কুপি (হারিকেন বা টেমি) জ্বালিয়ে জীবন কাটাতে হচ্ছিল তাদের।
স্থানীয় মরহুম আমির আলীর ছেলে আব্দুর রহিম (৫৫), মরহুম আব্দুল হাকিমের ছেলে আব্দুল ওয়াহেদ গাজী (৭০), মরহুম শোকর আলীর ছেলে শামসুর গাজী (৫৫) সহ একাধিক ব্যক্তি জানান, কুপি বাতি বৃষ্টির দিনে ঠিকমতো জ্বলত না। তরপরও কুপিবাতি ছিল আমাদের একমাত্র ভরসা। এখন বিদ্যুৎ’র আলো পাবো ভেবে মনে হচ্ছে আলাউদ্দিনের প্রদীপ পেয়েছি। পরবর্তীতে কালিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মরহুম আলহাজ্জ্ব শেখ ওয়াহেদুজ্জামানের ছোট ছেলে কুশুলিয়া ইউপি’র চেয়ারম্যান প্রার্থী শেখ আবুল কাশেম মোহাম্মদ আব্দুল্ল্যাহ বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দিয়েছেন ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার জন্য। অথচ কয়েকজন প্রভাবশালী জনপ্রতিনিধি ষড়যন্ত্র করে এই গ্রামে বিদ্যুৎ প্রদানে বাঁধা প্রদান করে আসছিল। তারা বিভিন্ন কৌশলে অসহায় এই মানুষদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে আরও হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছিল। পরবর্তীতে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর এই গ্রামে বিদ্যুৎ’র আলো পেতে যাচ্ছে অর্ধশত পরিবার।
এব্যাপারে কালিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার পংকজ শিকদার জানান, ৩ বছর পূর্বে এই কাজে বাঁধা প্রদান করে প্রভাবশালী মহল। ওই সময়ে ঠিকাদার কাজ না করে চলে যায়। পরবর্তীতে আমি যোগদান করার পর আমার উর্দ্ধতন র্কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে নতুন করে ডিজাইন করে শতভাগে নাম ঢুকিয়ে দিয়েছিলাম। ইতিমধ্যে বিদ্যুৎ লাইনের কাজ শেষ হয়েছে। এখন গ্রাহকরা সরকারি নিয়ম মেনে টাকা জমা দিলে গ্রাহকের বাড়িতে লাইন লাগিয়ে দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।