লিটন ঘোষ বাপি: ‘যা দেবীষু সর্বভূতেষু মাতৃরূপেন সংস্থিতা, নমস্ত্যসৈ নমস্ত্যসৈ নমস্ত্যসৈ নমঃ নমঃথ। মহা ষষ্ঠী পূজার মাধ্যমে আজ হিন্দু সম্প্রদায়ের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা শুরু। বাঙালী সমাজে সনাতন ধর্মের গন্ডি পেরিয়ে শারদীয় দূর্গোৎসব সার্বজনীনে পরিনত হয়েছে। দুর্গোৎসব ঘিরে নানা আয়োজনে ব্যস্ত হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ। উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে সব ধর্ম ও শ্রেণির বাঙালির মধ্যেও। মা দুর্গার আগমনে অশুভ শক্তির বিনাশ করতে আর জগতের শান্তি প্রতিষ্ঠিতা হবে এই বিশ্বাস নিয়ে এবছর মন্ডপগুলোতে শারদীয় দুর্গাপূজা পালন হচ্ছে। দুর্গাপূজার ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা হিন্দুদের কিন্তু মূলবাণী সমগ্র মানবজাতির কল্যাণে নিবেদিত। এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে বাঙালির হাজার বছরের অসাম্প্রদায়িক চেতনা। অর্থাৎ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হচ্ছে সর্বজনীন শারদীয় দুর্গাপূজা। সব মানুষের সুখ-শান্তি কামনায় এবং সর্বজীবের মঙ্গলার্থে হিন্দু সম্প্রদায় বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা ও উৎসব মুখর পরিবেশে নানা উপচার ও অনুষ্ঠানাদির মাধ্যমে প্রতিবছর ন্যায় এবারও উদযাপন করছে শারদীয় দুর্গোৎসব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রশাসনের তদারকির পাশাপাশি প্রতি মণ্ডপে সিসি ক্যামেরা এবং নিজস্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পূজার সকল আনুষ্ঠানিকতা শেষে আগামী ২৪ অক্টোবর মঙ্গলবার বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জন করবেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।