
সরদার আবু সাইদ: অপরিকল্পিত মাছ চাষ করায় প্রায় এক কিলোমিটারের বেশি ইটের সলিং রাস্তার ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ১০নং আগরদাড়ী ইউনিয়নের দত্তডাঙ্গা গ্রামের হাজার হাজার মানুষের একমাত্র সড়কের বেহাল দশা এটি। এই রাস্তা দিয়ে কোন যানবাহন চলাচল করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। মৎস্য চাষ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের একটি অংশ হওয়ায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ রাস্তার বেহাল অবস্থা হলেও কোন পদক্ষেপ গ্রহণে উদাসীনতা দেখাচ্ছেন। ফলে রাস্তার কোন সংস্কার হচ্ছে না। অথচ একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করলে রাস্তাটি মজবুত হতে পারে মাছ চাষের জন্য সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি হতে পারে।
সম্প্রতি সরে জমিনে ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার নেবাখালি হতে দত্তডাঙ্গা গ্রামের ইটের সলিং এর রাস্তা ব্যাবহার করে মাছ চাষ করা হচ্ছে। এই এলাকার মৎস্য খামারের মালিকরা সরকারী রাস্তা, ব্রিক সলিংসহ ইউনিয়ন পরিষদের নির্মিত রাস্তা মাছের খামারের বাঁধ হিসেবে ব্যবহার করে অতি সহজেই মাছ চাষ করে আসছে। মৎস্য চাষে ব্যবহৃত সড়কের দুই পাশে সব সময় পানি থাকার ফলে প্রতিনিয়ত রাস্তা ভেঙ্গে যাচ্ছে । এভাবে বছরের পর বছর ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে এখন রাস্থার বেশির ভাগ মৎস ঘেরের ভেতরে চলে গেছে । ফলে ওইসব সড়কগুলোতে সকল প্রকার ছোট-বড় যানবাহনসহ এলাকাবাসীর চলাফেরা বন্ধ হয়ে নানা সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে।
এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ শাহাদাৎ এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি তাদের মৌখিক ও এমনকি মসজিদের মাইকে ভ্রাম্যমান মাইকে অনুরোধ করে ঘোষনা দিয়েছি যে দয়া করে রাস্তার ধারে মাটি দিয়ে মাছ চাষ করতে তবুও তারা কোন পদক্ষেপ আজও নেয়নি। এমত অবস্থায় আমি জেলা প্রশাসনের হস্থক্ষেপ কামনা করছি যাতে উপযুক্ত ব্যাবস্থা হয়। আগরদাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মজনুর রহমান মালী বলেন, ইউনিয়নের পরিষদের পক্ষ থেকে ইউপি সদস্যের মাধ্যমে এবং প্রায় শুক্রবার জুমার নামাজের সময় প্রতি মসজিদে বলে দেওয়া হতো যাতে ওইসব এলাকায় মৎস্য চাষীরা পরিকল্পিতভাবে খামারের পাড় তৈরী করে নেয় এবং সড়কগুলো যাতে ভেঙ্গে না পড়ে। কিন্তু দুই বছর ধরে বলার পরও মৎস্য চাষীরা কোন ব্যবস্থা না করায় সড়কগুলোই প্রতিবছর একই অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে । স্থানীয় প্রশাসনের উচিত এসকল মাছ চাষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে রাস্তা রক্ষা করা। স্থানীয় এলাকাবাসীর দাবী রাস্তা রক্ষার জন্য প্রটেকশন ওয়াল নির্মাণ ছাড়া রাস্তার পাশে মাছ চাষ করা যাবে না।
তবে পথচারী ও গাড়ির মালিকরা উল্লেখ করেন যে সমস্ত খামার মালিক মাছ চাষ করে রাস্তা নষ্ট করবে তাদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে রাস্তা রক্ষার দাবী জানান।