নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আলিপুর ইউনিয়নের ৪ ও ৫নং ওয়ার্ড সংলগ্ন মাঠে মাছ চাষ করায় পানি চলাচলের পথ বন্ধ হয়ে দুই ওয়ার্ডের অধিকাংশ এলাকা পানির নিচে তলিয়ে আছে। সরজমিন গিয়ে দেখা যায়, এই সব এলাকার অধিকাংশ পুকুর বৃষ্টির পানিতে ডুবে মাছ ভেসে চলে গেছে। নষ্ট হয়ে গেছে সদ্য রোপন করা ধান গাছের চারা। মারা যাচ্ছে কাঁঠাল গাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির বৃক্ষ। বাড়ির আঙিনায় কয়েক দিন যাবৎ বৃষ্টির পানি জমে থাকার কারণে ভেঙ্গে পড়েছে অনেকের আশ্রয় স্থল কাঁচা ঘর। এখনো যে কাঁচা ঘর গুলো অবশিষ্ট আছে সে ঘরে বসবাস করতে ভয় পাচ্ছে পরিবার নিয়ে। না জানি কখন দেয়াল ভেঙে চাপা পড়ে তাদের মৃত্যু হয় এই ভয়ে। এলাকাবাসী বলেন, আমাদের এখানে কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি তাদের স্বার্থ হাসিল করতে নিজেরা প্রভাব খাটিয়ে অপরিকল্পিত ভাবে ঘেরের ভেড়ি বাধের ফলে এই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। তারা আরো বলেন, আমাদের এলাকার কিছু স্বার্থপর লোক তাদের নিজেদের স্বার্থে সাতক্ষীরা টু ভোমরা রাস্তা উপর নির্মিত কালভার্টের মুখ ঘিরে মাছ চাষ করায় এই জলাবদ্ধতার প্রধান কারণ। দীর্ঘদিন ধরে এই কালভার্ট গুলো দিয়ে গ্রামের পানি মাঠে এবং মাঠের পানি খালে যাওয়ার ফলে সে সময় আমাদের এলাকায় কখনো জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হত না। কিন্তু গুটি কতক স্বার্থপর লোক কালভার্টের মুখ টা বেঁধে মাছ চাষের কারণে এই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি বলে তারা উল্লেখ করেন। ৫নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. শামছুর রহমান বলেন, আমাদের এলাকার মৃত জলিল সরদারের ছেলে শহিদুল ও মৃত গফুর সরদারের ছেলে লিয়াকাত পানি চলাচলের একমাত্র পথটি বন্ধ করে রেখেছে। ৪নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মুকুল, সরোয়ার ও লুৎফর বলেন, এই দুই এক জন লোকের কারণে বৃষ্টি একটু বেশি হলেই প্রতি বছর আমাদের এই ভোগান্তির শিকার হতে হয়। পানির নিচে তলিয়ে যায় আমাদের বাড়ির আঙিনা। ডুবে যায় পুকুর, নষ্ট হয়ে যায় কাঁচা পাকা ধান ও বাড়ির আঙিনায় লাগানো শাক সবজি। খাওয়ার অনুপযোগী হয়ে পড়ে কলের পানি। এই চির দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পেতে যথাযথ কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকার সচেতন মহল।