সাতনদী অনলাইন ডেস্ক: কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে প্রেম করে কিশোরীকে ধর্ষণের পর গর্ভবতী অবস্থায় হত্যা করে মরদেহ গুম করার দায়ে এক যুবককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ডও দেয়া হয়।
মঙ্গলবার (০৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে কিশোরগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্র্যাইব্যুনালের বিচারক জেলা জজ কিরণ শঙ্কর হালদার আদালতে এ রায় দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত এমদাদুল হক জেলার তাড়াইল উপজেলার জাওয়ার গ্রামের আবদুল কুদ্দুছের ছেলে।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, এমদাদুল হক মোবাইল ফোনে একই উপজেলার গজেন্দ্রপুর গ্রামের জমির উদ্দিনের মেয়ে শাহনাজের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। একপর্যায়ে শাহনাজ গর্ভবতী হয়ে পড়েন। এ অবস্থায় বিয়ের জন্য এমদাদুল হককে চাপ দেন শাহনাজ। ২০১৭ সালের ২১ মে রাতে রহস্যজনক ভাবে নিখোঁজ হয় শাহনাজ। ওই বছরের ২৬ মে পূর্ব জাওয়ার কান্দিপাড়া গ্রামের জনৈক পলাশ খানের পতিত জমিতে মাটিচাপা অবস্থায় শাহনাজের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় শাহনাজের মা খাইরুন্নেছা বাদি হয়ে এমদাদুল হককে আসামি করে মামলা রুজু করেন। পুলিশ ২৮ মে এমদাদুল হককে গ্রেফতারের পর পুলিশ ও আদালতের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পুলিশ তদন্ত শেষে ২০১৮ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন কিশোরগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্র্যাইব্যুনালের পিপি অ্যাডভোকেট এম এ আফজল।