নিজস্ব প্রতিবেদক: অদৃশ্য দোকান ঘর সংষ্কারের নামে পেরিফেরির জায়গা ইজারা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। পাটকেলঘাটা থানার পাটকেলঘাটা বাজারে ১নং খতিয়ানের পেরিফেরিভুক্ত হাটুরেদেরে বসার খালি জায়গা দোকান সংষ্কারের নামে বরাদ্দ নিয়েছে একই থানার ছোট কাশিপুর গ্রামের রফিকুল বিশ্বাস ও তার ভাই বাবলু বিশ্বাস।
জেলা প্রশাসক ও ভূমি অফিসে দায়েরকৃত অভিযোগ ও স্থানীয়দের বরাতে জানা যায়, তালা উপজেলার, পুটিয়াখালী মৌজায়, ১নং খতিয়ানের দাগনং ১৪২২ এর ওপর বন্দোবস্তকৃত ৩৪১/১৬-১৭, ৩৪০/১৬-১৭, ২২৪/১৯-২০, ২২৩/১৯-২০, ২২৭/১৯-২০, ২২২/১৯-২০, ২২৮/১৯-২০, ২২৫/১৯-২০, ২২১/১৯-২০ নং কেসে ইজারা নেওয়া হয় অদৃশ্য দোকানগুলো। সেগুলো সংষ্কারের নামেই এ বরাদ্দ নেয় রফিকুল ইসলাম ও তার ভাই বাবলু বিশ্বাস । অথচ সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ওই জায়গা বিলান বা ফাঁকা জায়গা। গুড় হাটা বা গুড় বিক্রির স্থানের বিলান জায়গাটি বরাদ্দ নেওয়ায় স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। এ নিয়ে বাজারের ব্যবসায়ী আব্দুল হামিদ সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) বরাবর অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগের বিষয়ে আব্দুল হামিদ জানান, আমরা হঠাৎ শুনলাম এখানে একটি বিল্ডিং ছিলো সেটি সংষ্কার করার নামে এ জায়গাটি বরাদ্দ নেওয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে সে ইট এনে ও ভিট কাটে দুই ভাই। এরপর ফেব্রুয়ারি মাসের ২২ তারিখে গিয়ে ইউএনও স্যারের কাছে এ বিষয়ে অবগত করলে তিনি কাজ বন্ধ করে দেন। মূলত এ রকম জায়গা বরাদ্দ দেওয়ার নিয়ম নেই বিধায় ভূয়া স্থাপনা সংষ্কারের নাম করে বরাদ্দ নিয়ে দোকানঘর নির্মাণ করে জায়গাটি বিক্রির চেষ্টায় আছে রফিকুল ও বাবলু।
স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মধুসূদন বিশ্বাস জানান, আমার ছোট বেলা থেকে এখনও এ জায়গাটি ফাঁকা দেখছি। ৫০বছর ধরে এভাবেই এ জায়গাটি ফেলানো আছে। কিন্তু কাগজপত্র অনুযায়ী দেখতে পারি এখানে দোকানঘর সংষ্কার করা প্রয়োজন তাই বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি হাস্যকর। এ নিয়ে মাননীয় জেলা প্রশাসকের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
স্থানীয় আবুল কালাম আজাদ জানান, এখানে কোন স্থাপনা এখন যেমন নেই তেমনি আগেও ছিলোনা। কিন্তু কিভাবে এ ফাঁকা জায়গা ঘর দেখিয়ে বরাদ্দ দিলো তা বোধগম্য নয়।
ওই স্থানে বসবাসকারী ভূমিহীন মো আমেদ আলী সানা জানান, আমি এখানে ৪০ বছর বসবাস করছি। কিন্তু এখনো পর্যন্ত কোন কিছু এখানে ছিলো না বা নেই।
বাজারের ব্যবসায়ী মাসুদ পারভেজ জানান, সামনের দোকানটি আমার। পিছনের এই খালি জায়গাটি বন্দোবস্তো হয়েছে। কিভাবে হলো আমার বোধগম্য নয়। কাগজপত্র দেখি যে জরাজীর্ণ দোকানঘর সংস্কারের নামে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তবে জেলা প্রশাসক ও ইএনওর হস্তক্ষেপে এ জায়গাটি কৌশলে জবর দখল থেকে সাময়িক মুক্ত হয়। তবে তারা বিভিন্ন জায়গায় বলে বেড়াচ্ছে যে আবারও জায়গাটিতে পাকা ঘর বানানোর চেষ্টা করা হবে। এ নিয়ে আমরা জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।