
নিজস্ব প্রতিবেদক: তুলে নিয়ে যাবার ৪৮ ঘন্টা পর পুলিশ কলারোয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক আমিনুল ইসলাম লাল্টুকে সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের বাড়িতে পৌছে দিয়েছে। শনিবার (৩০ জানুয়ারী) রাত ১০ টার দিকে তাকে অজ্ঞাত স্থান থেকে গাড়িতে এনে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
আমিনুল ইসলাম লাল্টু বলেন ‘ আমাকে বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারী) ( রাত ৯ টার দিকে গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয়ে ঝাউডাঙ্গা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় । গাড়ির মধ্যে বসিয়ে আমার ফোন নিয়ে নেন তারা। পরে আমাকে অচেনা ও অজ্ঞাত স্থানের একটি কক্ষে রাখা হয়। তবে আমার সাথে তারা খারাপ ব্যবহার করেননি। সময় মতো খাওয়া ও নাশতাও দেওয়া হয়’। তিনি আরও বলেন শনিবার রাতে আমাকে সাতক্ষীরা শহরের সুলতানপুরে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মো. নজরুল ইসলামের বাড়িতে রেখে আসে গোয়েন্দা পুলিশ । পরে তিনি আমাকে কলারোয়ায় সাবেক সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বিএম নজরুল ইসলামের কলারোয়াস্থ বাড়িতে গাড়িতে পাঠিয়ে দেন’।
এ বিষয়ে জানতে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামের সাথে তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার ফোন বিকাল সাড়ে ৫ টায় বন্ধ পাওয়া গেছে।
তবে সাতক্ষীরা জেলা গোয়েন্দা পুলিশ পরিদর্শক মো. ইয়াসিন আলি বলেন ‘ চেয়ারম্যান লাল্টুর কথা সত্য নয়। এ বিষয়ে আমি ও আমার সহকর্মী সদস্যরা কেউ কিছু জানিনা’। তিনি আরও বলেন চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লাল্টু তার ফেসবুক আইডিতে লিখেছেন যে ‘আমি অসুস্থতার কারণে ভোট দিতে আসতে পারিনি। সেখানে তিনি তাকে তুলে নিয়ে যাওয়া কিংবা অচেনা স্থানে আটক রেখে পরে জেলা চেয়াররম্যানের বাড়ি পৌছে দেওয়ার কথা বলেন নি’।
উল্লেখ্য ৩০ জানুয়ারি কলারোয়া পৌর নির্বাচনকে সামনে রেখে ম্বতন্ত্র প্রার্থী মজনু চৌধুরীকে মেয়র পদপ্রার্থীতা প্রত্যাহারের জন্য চাপ দিতে কলারোয়া উপজেলা চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লাল্টুকে গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয়ে বৃহস্পতিবার রাতে তুলে নিয়ে যাবার অভিযোগ করে তার পরিবার। তাকে মুক্তি দেওয়ার শর্ত রেখে মেয়র প্রার্থী মজনু চৌধুরী ভোটের আগের দিন সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচনী মাঠ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষনা দেন।