
নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরায় ঢিলে-ঢালাভাবে লকডাউন চলছে। সোমবার সকাল থেকে সাতক্ষীরা শহরের বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে সাধারণ মানুষের ভিড় দেখা গেছে। দুরপাল্লার পরিবহন ও স্থানীয় রুটে কোন যানবাহন চলাচল করতে দেখা যায়নি। তবে চলছে মাহিন্দ্রা, ইজিবাইক, ব্যাটারিচালিত ভ্যানসহ ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রাইভেটকার। এছাড়া দোকান-পাট প্রায় সব জায়গাতেই খোলা রয়েছে। তবে কাঁচা বাজারের মধ্যে অধিকাংশ মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। উন্মুক্ত স্থানে কাঁচা বাজার ও নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দোকার বসার নির্দেশনা থাকলেও সাতক্ষীরার কোথাও সেটা লক্ষ্য করা যায়নি। তাছাড়া মাস্ক পরিধানে অনেকেরই অনীহা রয়েছে। বিনা প্রয়োজনে মানুষের ঘোরাঘুরি ও আড্ডা দিতে দেখা যাচ্ছে। আদৌও কি লকডাউনের সুফল সাতক্ষীরাবাসী পাবে কি না এটা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় দেখা দিয়েছে। প্রশাসনের কঠোর তদারকি ছাড়া লকডাউন বাস্তবায়ন হবে না বলেও অনেকে মন্তব্য করেছেন।
এদিকে লকডাউন সফল করতে দুপুর বারোটার দিকে প্রশাসনিক কিছুটা তৎপরতা লক্ষ্য করা গেছে।
এদিকে, করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় লকডাউনের মধ্যে সরকার ঘোষিত বিভিন্ন নির্দেশনা পালনসহ যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রে সরকারি নির্দেশনা অনুসরণ করা হচ্ছে কিনা এবং বাজারে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল আছে কিনা তা তদারকিতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে। জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে শহরের বিভিন্ন শপিংমল ও সড়কে দূরপাল্লার গনপরিবহনে এ মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। এ সময় সরকারি নীতিমালা অমান্য করায় জেলার ৭টি উপজেলায় মোট ১২ টি মোবাইল কোর্টের অভিযানে ৭০ টি মামলায় ৫৪ হাজার ৮শত টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল জানান, লক ডাউন ভঙ্গ করলে এবং স্বাস্থ্য বিধি না মানলে বা সরকারের দেয়া শর্ত ভঙ্গ করলে মোবাইল কোর্টে কঠোর শাস্তি প্রদান করা হবে। তিনি আরও জানান, করোনা সংক্রমন প্রতিরোধে লকডাউন বাস্তবায়নে ইতোমধ্যে জেলার তিনটি সীমান্তবর্তী পয়েন্টে ৬জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছে।