
হাফিজুর রহমানঃ- ওসি খ্যাত উপজেলা চেয়ারম্যানের ঘনিষ্ঠ ভাজন জামায়াতের ক্যাডার দালাল ইউ.পি সদস্য সিরাজুল ইসলাম সরকারি খাল হতে ড্রেজার মেশিন দিয়ে ব্যবসার জন্য অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করেছিল। এসময় সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে গেলে এলাকার উপস্থিত লোকজনের নিকট জানতে চায় কে বালু উত্তোলন করেছে। ঐ সময় অনেকের মধ্যে শফিকুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি ইউ.পি সদস্য সিরাজুল ইসলাম এর নাম বলেন। এ সংক্রান্ত বিষয় গত ১৮ অক্টোবর শনিবার বিভিন্ন পত্রিকায় ভালোভাবে খবরটি ছাপা হয়। খবর দেখে তেলে বেগুনে জ্বলে ওঠে ইউ.পি সদস্য সিরাজুল ইসলাম। গত ২৪ সেপ্টেম্বর সকাল ৮টার সময় প্রকাশ্য বাজারে ডেকে নিয়ে ব্যাংক কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম তার ভাই সফিকুল ইসলামকে বেধড়ক পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে মেম্বর সিরাজুল ইসলাম তার ভাই মহিদুল ইসলাম, ময়না এবং জিয়াউর। সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের কোমরপুর গ্রামের কোমরপুর বাজার মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সন্ত্রাসী বাহিনীর হাতে গুরুতর আহত কোমরপুর গ্রামের রুহুল কুদ্দুস গাজীর পুত্র ইসলামী ব্যাংক কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম ও তার ভাই শফিকুল ইসলাম আল্লাহর কাছে বিচার চাইলেও থানায় আসতে সাহস পায়নি। মেম্বরের এ ধরনের ঘের দখল, চর দখল, ঘেরা কাটা, বেড়া কাটতে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি সাঈদ মেহেদী এর নাম ভাঙ্গিয়ে মারপিট সংখ্যালঘু নির্যাতন তার নিত্য নতুন কাজ। তার এলাকার একজন ধনকুব ঘের ব্যবসায়ী জনৈক রফিকুল ইসলাম এর টাকায় আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের অঘোষিত জামাতের প্রার্থী হিসাবে চেয়ারম্যান নির্বাচনের জন্য থানার ওসিকে ম্যানেজ করে এবং ওসির নাম ভাঙিয়ে এলাকায় সালিশ বিচারের নামে আওয়ামী লীগ দলীয় নেতাকর্মীদের উপর নির্যাতন চালিয়ে আসছে। লোকজনের নিকট বিশ্বাস অর্জনের জন্য হাট বাজারে বসে লোকজনের সম্মুখে লাউড স্পিকারে ওসির নিকট কথা বলার সময় তাদের শুনিয়ে ওসি সাহেবের নিজের লোক প্রমাণ করে। গত ১৪ সেপ্টেম্বর চৌমুহুনী বাজারে অবস্থিত নাবিলা মোটর শোরুমে তার দুই ক্যাডার নুরুদ্দিন ও বাবর আলীকে মোটরসাইকেল বাকি আনতে পাঠায়। বাকিতে মোটরসাইকেল না দেওয়ায় মালিক জাহাঙ্গীর আলম কে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ হত্যার হুমকি দেয়। থানায় দালাল সিরাজুলের প্রতিনিয়ত সময় অসময়ে বিভিন্ন ব্যাগে উপঢৌকনে নিয়ে প্রবেশ করাকে কেন্দ্র করে নানান জল্পনা কল্পনা সোনা গেছে। তবে এ ব্যাপারে থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম মোস্তফার নিকট জিজ্ঞাসা করলে তিনি ইউ.পি সদস্য সিরাজুল ইসলামকে চেনেন না বলে সাংবাদিকদের জানান। কে এই সিরাজুল ইসলাম। শেখ সিরাজুল ইসলাম শ্রীরামপুর গ্রামের শেখ আব্দুল গনির পুত্র জামাতের একজন দুধর্ষ ক্যাডার হিসেবে পরিচিত। ২০১৩ সালে দেশবিরোধী সহিংসতায় মুখ্য ভূমিকায় ছিল তার অগ্রনি ভূমিকা ঐসময় তার ভয়ে মুখ খুলতে কেউ সাহস পেত না। সহিংসতা পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পরে ভোল পাল্টে থানা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদির খুব ঘনিষ্ঠ জন হয়ে একজন নব্য আওয়ামী লীগের কাউয়া লীগে পরিণত হয়। সেই থেকে উপজেলা চেয়ারম্যানের ওপর ভর করে এলাকায় নানান অপকর্ম চালিয়ে গেলেও কেউ কিছু বলার সাহস পায়না। বর্তমান চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগের শেখ রিয়াজউদ্দিন কে পরাজিত করতে জামায়াতের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করার জন্য উপজেলা চেয়ারম্যানের ছত্র ছায়ায় অঘোষিত জামায়াতের প্রার্থী হিসেবে মাঠে নামার পায়তারায় সর্বদা প্রশাসনকে তাবেদারী করে চলেছে। বিষয়টি নিয়ে উপজেলায় এবং জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করেছে বিষ্ণুপুর আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ। এব্যাপারে ঘটনার সত্যতা জানার জন্য তার মোবাইল ফোনে জিজ্ঞাসা করলে তিনি কিছু হয়নি বলে ফোন কেটে দেন।