
আব্রাহাম লিংকন, শ্যামনগর থেকে ফিরে :
সাতক্ষীরার শ্যামনগরে মুন্সীগঞ্জ ইউনিয়নের হরিনগর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জের বিরুদ্ধে ৪ ড্রাম মধুসহ গ্যাসের চুলা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে ৷
ঘটনা ও মামলা সূত্রে জানা যায়, ১৭ নভেম্বর ২০২২ রাত ৮ টার দিকে মথুরাপুর গ্রামে আব্দুর রশিদের বাড়িতে চিনি জালিয়ে মধু তৈরি করছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে হরিনগর নৌ- পুলিশ ফাঁড়ির এসআই (নিঃ) শিশির ঘোষ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে মথুরাপুর গ্রামে আব্দুর রশিদের বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করেন ৷ আব্দুর রশিদ বাড়িতে না থাকায় সাবেক মহিলা মেম্বর নুরজাহান বেগমকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় আব্দুর রশিদের বাড়ির পুকুরের পাকা ঘাটে পানির নিচ থেকে ডুবানো অবস্থায় ১০ ড্রাম চিনি মিশ্রিত ভেজাল ক্ষতিকর মধু গ্যাস সিলিন্ডার, গ্যাসের চুলা, হাড়ি পাতিল জব্দ করেন ৷ এ ঘটনায় নৌ-পুলিশের এএসআই হাসান আলী বাদী হয়ে মথুরাপুর গ্রামের এসমাইল গাজীর ছেলে আব্দুর রশিদ তার ছেলে রিপন হোসেনকে আসামি করে ১৮ নভেম্বর ২০২২ একটি জি- আর মামলা করেন যার নং-৪৮০/২২ ৷
তথ্যনুসন্ধ্যান ও মামলার স্বাক্ষী আলহাজ্ব নূর ইসলামের স্ত্রী সাবেক মেম্বর নূরজাহান বেগম, আবু দাউদের ছেলে কামরুল ইসলামের সাথে কথা হলে তারা জানান ১০ ড্রম মধু সহ গ্যাস ভর্তি সিলেন্ডার, চুলা, হাড়ি, বস্তুা সহ বিভিন্ন জিনিস জব্দ করে নিয়ে যায়। পরে তাদের কাছ থেকে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেওয়া হয় ৷ কিন্তু মামলার জব্দ তালিকায় ৪ ড্রাম মধু, গ্যাসের চুলা সহ কিছু জিনিস মামলায় না দেখিয়ে আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে ৷
এবিষয় নৌ-পুলিশের স্বাক্ষী সাগর মুল্লিকের সাথে ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান অভিযানের সময় ঘটনা স্থলে ছিলাম তবে কয় ড্রাম মধু জব্দ করা হয়েছে জানা নেই বলে জানান।
মামলার তদন্ত অফিসার নৌ-পুলিশের এসআই (নিঃ) শিশির ঘোষের সাথে মুঠো ফোনে কথা হলে তিনি বলেন, কয় ড্রাম মধু জব্দ করা হয়েছিল আমার মনে নাই। চার্শীডের বিষয় বলেন আসামী আটক করার পর চার্শীড দিবেন বলে জানান। স্বাক্ষীদের বক্তব্যের কথা বললে তিনি বলেন, উপরের নির্দেশ কোন তথ্য দেওয়া নিষেধ আর স্বাক্ষীরা বললে আমি কি বলবো জব্দ তালিকায় তাদের স্বাক্ষর আছে ৷
আটক কৃত ৪ ড্রাম মধু ও গ্যাসের চুলাসহ অন্যান্য জিনিস পএ জব্দ তালিকায় না দিয়ে আত্মসাৎ করায় তদন্ত পূবর্ক ব্যবস্থা গ্রহনে সংশ্লীষ্ট উর্দ্বোতন কর্তৃপক্ষকে আসু হস্থক্ষেপ কামনা করেছেন।