
নিজস্ব প্রতিবেদক:সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার প্রতিটি দপ্তরে উৎসাহ উদ্দীপনা লক্ষ করা গেলেও তা চোখে পড়ছেনা শ্যামনগর উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে। শ্যামনগর উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে বর্তমান অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত সমাজসেবা কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম যোগদান করার পর থেকে সমাজসেবা কার্যালয় এক স্থবিরতা বিরাজ করছে। উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয় শ্যামনগর এর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এটুআই প্রকল্প থেকে তিনটি ইউনিয়নে সকল প্রকার ভাতাভোগী বয়স্ক ভাতা বিধবা ভাতা প্রতিবন্ধী ভাতা ইএফটি পদ্ধতিতে প্রদান করা হয়, বর্তমানে যা বন্ধ রয়েছে। তথ্য সূত্রে জানা যায়, শ্যামনগর উপজেলা ঈশ্বরীপুর বুড়িগোয়ালিনী এবং শ্যামনগর সদর ইউনিয়নের ভাতা ভোগীরা ইএফটি সুবিধা ভোগ করার মাঝে তাদের মধ্যে নেমে আসে দুর্বিষহ জীবন। কারণ ডিসেম্বর মাসে অত্র কার্যালয়ের সমাজসেবা অফিসার শহিদুর রহমান বদলির পর থেকে অদ্যবধি কোন ভাতাভোগী ভাতার অর্থ না পেয়ে তারা মানবেতর জীবনযাপন করছে। একই সাথে উপজেলার কোনো বীর মুক্তিযোদ্ধারা সঠিক সময়ে তাদের ভাতা পাচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠছে। মুজিববর্ষে যেখানে সরকার শতভাগ স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে চাচ্ছে সেখানে উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয় যে একেবারেই মুখ থুবড়ে পড়ছে, যা সমাজসেবা অধিদপ্তরের কাছে সুবিধাভোগীদের কোনো মতেই কাম্য নয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা বলেন, যেহেতু অত্র উপজেলায় পি এফ টি এর মাধ্যমে ভাতা প্রদান করা হয়, সে কারণে কর্তৃপক্ষের কাছে উপজেলা বাসীর পক্ষ থেকে বিনীত অনুরোধ, অত্র উপজেলার দুস্থ অসহায় ও প্রতিবন্ধী ও বিধবা মানুষের কথা বিবেচনা করে পূর্বে দায়িত্বে থাকা শহিদুর রহমান এর মতো একজন দক্ষ কর্মকর্তাকে শ্যামনগর উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয় অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রদান করে কাজের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য অনুরোধ করছি।