
আব্রাহাম লিংকন, শ্যামনগর থেকে: শ্যামনগরের বুড়িগোয়ালিনীতে প্রতিবন্ধী ধর্ষণের ঘটনাকে ঘিরে সাংবাদিক পরিচয়দানকারীর বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে হয়রানী ও অর্থ বাণিজ্যের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনা সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের আলেয়া বেগমের (ছদ্মনাম) মেয়ে, মানসিক প্রতিবন্ধী আসিয়া খাতুন (ছদ্মনাম) (১৮) কে আবাদ চন্ডিপুর গ্রামের মোকসেদ গাজীর পুত্র নুরইসলাম (৩০) বিভিন্ন সময় প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার শারিরীক সম্পর্ক করে। তারই প্রেক্ষিতে প্রতিবন্ধী আসিয়া খাতুন (ছদ্মনাম) ৪ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়।
এ নিয়ে স্থানীয় কয়েকটি পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হলে শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ আলহাজ¦ নাজমুল হুদা বিষয়টি আমলে নিয়ে তদন্ত করে সঠিক ঘটনা জানার নির্দেশ দেন সেকেন্ড অফিসার এসআই খবিরকে। এসআই খবির ঘটনার সত্যতা পেলেও আসিয়া খাতুনের (ছদ্মনাম) মাকে থানায় হাজির হয়ে এজাহার দিতে বললে কোন অভিযোগ না দেওয়ার ফলে মামলা হয়নি। এর মধ্যে স্থানীয় সাংবাদিক পরিচয়দানকারী খাগড়াঘাট গ্রামের শওকাত সরদারের পুত্র মো: নরুজ্জামান (জামাল) আসিয়া খাতুনের (ছদ্মনাম) বাড়ীর আশেপাশে অর্থশালী ব্যক্তিদের খুজতে থাকে। এবং ভিকটিম আসিয়া খাতুনের মা’কে শিখিয়ে ভিডিও ধারণ করে। ঐ ভিডিও নিয়ে অর্থশালী ব্যক্তিদের কাছে গিয়ে জিম্মির পন্থায় অর্থ আদায় করে থাকে। একই পন্থায় আব্দুর রহমান ডাবলুর কাছে সাংবাদিক পরিচয়দানকারী মো: নরুজ্জামান (জামাল) ১০ হাজার টাকা দাবী করে। আব্দুর রহমান ডাবলু দাবিকৃত টাকা না দেওয়ায় তাকে ১নং আসামী করে সাংবাদিক পরিচয়দানকারী মো: নরুজ্জামান (জামাল) নিজে ৩নং স্বাক্ষী হয়ে আসিয়া খাতুনের মা’কে বাদী করে সাতক্ষীরা বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা করে যার তদন্তের ভার সাতক্ষীরা পিবিআই এর উপর রয়েছে।
এদিকে সাংবাদিক পরিচয়দানকারী নরুজ্জামান (জামাল) আব্দুর রহমান ডাবলুকে জিম্মির পন্থায় অর্থ আদায়ের বিষয়ে ফেসবুক ম্যান্সেজারের স্ক্রিনসর্ট ও ভিডিও সাতনদীর হাতে রয়েছে।
আসিয়া খাতুনের মা’য়ের ভিডিও দেখে জানাগেছে যে, নুরইসলাম একমাত্র আসিয়ার ধর্ষক। আব্দুর রহমান ডাবলু বলেন, নরুজ্জামান (জামাল) আমাকে হঠাৎ এসে বললো আসিয়ার ধর্ষণের ঘটনায় তোমার নাম আসছে ৩ হাজার টাকা দাও আমি মিটিয়ে দিচ্ছি । পরে ১০ হাজার টাকা দাবী করে। আমি দিতে অপারগ হলে আমার নামে সহ আরও নির্দোষ ২জনের নামে মামলা করেছে।
বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিক পরিচয়দানকারী মো: নরুজ্জামান (জামাল) এর সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
শ্যামনগর থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই খবির বলেন, তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পেলেও আসিয়া খাতুনের মাকে থানায় এসে এজাহার দিতে বললে কোন অভিযোগ না দেওয়ার ফলে মামলা হয়নি।