
আব্রাহাম লিংকন, শ্যামনগর থেকে: শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নে মুক্তিযোদ্ধার প্রভাব খাঁটিয়ে ভুমিহীনকে উচ্ছেদের পায়তারার অভিযোগ উঠেছে। এমন ধরণে অভিযোগ তুলেছেন মথুরাপুর গ্রামের শহীদ দাউদ গাজীর পুত্র আয়ুব আলী গাজী। তিনি অভিযোগ করে বলেন, হরিনগর বাজারস্থ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিকট আবেদনকৃত মুন্সীগঞ্জ মৌজার এল এ কেস নং ১৫৯/৬৭-৬৮ এর আওতাধীন ১০৬০, ১০৫৯, ১০৬১ দাগে ১০ শতক জমি ইজারার আবেদন করে দখল করে ভোগদখল করে রয়েছেন। কিন্তু শিংহরড়তলী গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা মৃত নবাবদ্দী ফকিরের পুত্র মুক্তিযোদ্ধা লুৎফর রহমান ফকির খাস জমির লোভের বশবর্তী হয়ে ঐ জায়গায় আয়ুব আলীর অগোচরে পল্লীবিদ্যুৎ অফিসে আবেদন করে মিটার গ্রহণ করে এবং বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ করেন যে, ঐ খাস সম্পত্তি লুৎফর রহমান ফকির নিজের বলে দাবী করেন।
এ বিষয়ে আয়ুব আলী বলেন, মুক্তিযোদ্ধা লুৎফর রহমান ফকির মুক্তিযোদ্ধা পরিচয়ে আমাকে খাস সম্পত্তি থেকে বিতাড়িত করার জন্য উঠে পড়ে লেগে গেছে। আয়ুব আলী আরও বলেন, আমি আমার স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে এই জায়গায় কোন রকমে বসবাস করে আসছি। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধা লুৎফর রহমান ফকির আমার জায়গা দখল করার জন্য ৫ এপ্রিল সকাল ১০ টার সময়ে তার লাঠিয়াল বাহিনী নিয়ে আমাকে উচ্ছেদ করার পায়তারা করতে থাকে । আমি বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করে ব্যর্থ হই। পরে দুপুর ১ টার সময় শ্যামনগর থানা পুলিশের এসআই মোস্তাফিজুর রহমান ঘটনাস্থলে এসে আমাদের বের করে দেন এবং ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম পুলিশের অধীনে জায়গাটা হেফাজতে রেখেগেছেন। আমার এখন পথে পথে রাত কাটানোর অবস্থা হয়ে গেছে। এইটুকু জায়গা থেকে আমাকে বের করে দিলে আমি আমার স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে কোথায় যাবো বলে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
বিষয়টি নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা লুৎফর রহমান ফকির বলেন, এটা আমার রেকর্ডিয় জায়গা। হিন্দু সম্প্রদায়ের কাছ থেকে কেনা ছিলো। আমি আয়ুবকে দিতে চেয়েছিলাম। টাকা কম দিতে চাওয়ায় আমি তাকে জায়গাটা দেবো না। থানায় অভিযোগ করেছি। পুলিশ বিষয়টি দেখছে।
শ্যামনগর থানার এসআই মোস্তাফিজুর বলেন, লুৎফর রহমান ফকির থানায় এসে অভিযোগ করেন আয়ুব আলী আমার জায়গা জোর করে দখল নিচ্ছে তারই প্রেক্ষিতে ঘটনাস্থলে গিয়ে আয়ুবকে বের করে দিয়ে গ্রাম পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়েছে জায়গাটি। ৬ এপ্রিল বুধবার স্থানীয় পরিষদে মিমাংসা না হলে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে নিরসনের জন্য বলা হবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী মাসুদ রানা বলেন, বর্তমান ৩ বছর ধরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সকল জায়গার ইজারা বন্ধ আছে। যেখানে যে জায়গা আছে এবং যে যেভাবে দখলে আছেন সে সে ভাবে থাকবেন। প‚নরায় ইজারা চালু হলে দখলকারীদের ইজারা প্রদান করা হবে।