
জি,এম, নজরুল ইসলাম, মুন্সীগঞ্জ (শ্যামনগর) থেকে: শ্যামনগরের মুন্সীগঞ্জ ইউনিয়নে প্রকৃতির মুক্তবিহঙ্গে আবির মাখা লাল টুক টুকে বর্ণময় রংধারণ করে রক্তিম সাজে সেজেছে কৃষ্ণচূড়া। কৃষ্ণচূড়া ফুলে মুগ্ধ ইউনিয়নবাসী। সবুজ পাতার ফাঁকে উকি দিয়ে ফুলে ফুলে রক্তিম বর্ণ ধারণ করেছে গাছগুলো। মুগ্ধতা ছড়ানো ফুল গুলো যেন লাল রঙের আলপনায় সাজিয়েছে ইউনিয়নকে। সেই সাথে গ্রীস্মের এ খর তাপে কৃষ্ণচূড়ার লাল বেনারসির শাড়িতে বর্ণিল আর নান্দনিকতার রুপ ফিরে পেয়েছে বিভিন্ন গ্রামের মেঠো পথ প্রান্তরও। নীল আকাশের নীচে মেঘমালা হীন দূর থেকে পথচারীদের দৃষ্টি আকর্ষণ যেন থমকে দাঁড়ায়। বিশুদ্ধ অক্সিজেনের পাশাপাশি এসব গাছ দিচ্ছে ক্লান্ত দেহে ছায়া আর মনে প্রশান্তির পরশ। গ্রীষ্মের এই আগুন ঝরা দিনে যেন লাল বেনারসি পড়া নববধূর সাজে কারো অপেক্ষায় আছে কৃষ্ণচূড়া।কিন্তু প্রকৃতির মাঝে এ বিচিত্র জাতের সৌন্দর্য মেলে ধরা বৃক্ষটি উজাড়ের মিছিলে নীরবে নিভূতে লোকচক্ষুর অগোচরে বিলুপ্তির পথে। যেসব দুর্লভ গাছ এখনও কোন মতে আকাশে মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে সেগুলো নাগরিক জীবনও কর্তৃপক্ষের অসচেতন, অপরিণামদর্শিতা, লোভ আর নগর পরিকল্পকদের ভুলে হারিয়ে যাচ্ছে। যত্ন-আত্তি আর অবহেলায় এই দুর্লভ বৃক্ষের আজ ললাট শিখন। প্রবীণরা জানান, শেষ বয়সে এসেও আকাশে লাল গালিচা বিছানো এ বৃক্ষ আমাদের মন রাঙিয়ে চলে নিরন্তর। গ্রামীণ মেঠো পথের ধূলা-বালির এই গ্রীষ্মের খরতাপে শান্তির পরশ বুলিয়ে দেয় কৃষ্ণচূড়ার গাছগুলো। কৃষ্ণচূড়া নিয়েও রয়েছে কত গান, কত বিরহ, আছে অনেক অভিব্যক্তিও।