
আব্রাহাম লিংকন, শ্যামনগর থেকে:
শ্যামনগরে বাক্স কল ও পাইপ অপসারণ নিয়ে অর্থ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। উপক‚লীয় অঞ্চলের বেড়ীবাঁধ ছিদ্র করে পাইপ ও মৎস্যঘেরীদের কাছে পানি বিক্রির জন্য তৈরি বাক্স কল অপসারণের জন্য শ্যামনগরের মানিকখালী গ্রামের হাজী আবুল হোসেনের পুত্র হুমায়ুন কবির জনস্বার্থে হাইকোটে ৮১৭৫/২০২১ নং রিট মামলা দায়ের করেন।
তারই প্রেক্ষিতে গত সপ্তাহ থেকে কালীগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্তৃপক্ষ ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) কর্মকর্তা মোঃ শহিদুল্লাহ অপসারণ অভিযান শুরু করেন। কিন্তু ”কাজির গরু কেতাবে আছে, গোয়ালে নেই” বাক্স কল ও পাইপ অপসারণ না করে মাটি দিয়ে পাইপ ও বাক্স কলের মুখ বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। যাতে করে প‚নরায় এই যাত্রার মত বেঁচে পরবর্তীতে তাদের লোনাপানি উত্তোলনের কার্যক্রম করতে পারে।
অপসারণ অর্থাৎ সরিয়ে নেওয়া, ভেঙ্গে ফেলা মানে ধ্বংস করা, দুপাশের মুখ বন্ধ করা মানে কি হতে পারে? এই নিয়ে সংশয় জেগেছে এলাকার মানুষের মাঝে। ফলে মাত্র নামেই অপসারণ নেই তার কার্যক্রম। গোপন সংবাদ ভিত্তিতে জানাগেছে যে, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে অর্থ বাণিজ্যের মাধ্যমে আতাত করে পানি বিক্রি করা বাক্স কলের মালিকরা তাদের বাক্সকল অপসারণের নামে বন্ধ করে রেখেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বাক্স কলের মালিকের মাধ্যমে জানাগেছে যে, উপজেলায় ৬০ লাখ টাকা তোলা হচ্ছে বাক্স কলে সুকৌশলে যাতে থেকে যায়অ তারা বহাল তবিয়তে বাক্স কলের ড্রেন সহ স্থায়ীকরনের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে ঘের মালিকদের কাছ থেকে টাকা উত্তোলন করা শুরু করেছে বাক্স কলের মালিকেরা।
একটি পরিসংখ্যানে দেখা গেছে যে, প্রতিটি বাক্স কলের পানি বিক্রি করে একজন বাক্স কলের মালিক বছরে আয় করেন ১০ লাখ টাকা।
সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল খায়ের এর কাছে মোবাইলে জানতে চাইলে তিনি রাগান্বিত হয়ে ফোনটি কেটে দেন। স্থানীয় সচেতন মহলের ধারণা, দুপাশে মাটি দিয়ে বন্ধ করলে প‚নরায় চালু করে পানি বিক্রি করবে বাক্সকল মালিকরা।