
গাজী জিয়াউর রহমান/জিএম নজরুল ইসলাম:
শ্যামনগরে ৬ মাসের অন্তসত্তা গৃহবধুর মৃত্যু হয়েছে তবে তার পরিবারের দাবি যৌতুক না পেয়ে শাররীক নিযাতন করে মারা হয়েছে। বুধবার রাত আনুমানিক ১২-৩০ ঈশ্বারীপুর গ্রামের আবু বাকর ছেলে নাইমের বাড়ীতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মরিয়াম (১৯) মুন্সীগঞ্জ গ্রামের রফিকুল ইসলাম মেয়ে।
১ বছর আগে নাইমের সাথে মরিয়ামের বিয়ে হয় সেখান থেকে কিছু দিন যেতে না যেতে অহেতুক যৌতুক দাবি করতে থাকে এমন কি প্রায় সময় মারধর করত। ১০-১৫ দিন যৌতুক হিসাবে মটর সাইকেল দাবি করলে মেয়ে আমার বাড়ীতে চলে আসে । কয়ক দিন সময় নিয়ে মেয়েকে বুঝিয়ে শুক্রবার স্বামীর বাড়ীতে পাঠাই।
বুধবার রাত ১-৩৩ মিনিটে আমার কাছে নাইমের আব্বা ফোন দিয়ে বলে মরিয়াম গলায় দড়ি দিয়ে মারা গেছ। আমার পরিবারদের সাথে নিয়ে নাইমের বাড়ীতে যাইয়ে দেখি ঘরের ভিতর মেঝেতে শুয়ানো শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষত দেখা যায়। নিহত মরিয়ামের দাদা আকবার বলেন, যৌতুকের মটর সাইকেল না দিতে পারায় শাররীক নিযাতন করে মরিয়াম ও পেটে থাকা সন্তানকে মেরে ফেলা হয়েছে। গলায় দড়ি দিয়ে মরলে শরীরে দাগ দেখা যাবে কেন।
নিহতর ফুফা টুরি বিবি বলেন, ঘরে যেয়ে দেখি মরিয়ামের কাপড়ে রক্ত লেগে ছিল এছাড়া শরীরের বিভিন্ন জায়গায় নির্যাতনের দাগ আমরা এর বিচার চাই।
ঈশ্বারীপুর ইউপি চেয়ারম্যান শোকর আলী বলেন, প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা যাচ্ছে আত্মহত্যা করেছে তবে ময়না তদন্তের রিপোটে যানাযাবে আসল ঘটনা কি ?
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে শ্যামনগর থানার এসআই রইস বলেন, আমরা ঘটনা স্থলে যেয়ে দেখি নিহতের লাশ ঘরের মেঝেতে শুয়ানো সেখান থেকে লাশ সাতক্ষীরা মগে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোট অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ব্যাপারে শ্যামনগর থানা একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে, যার নং-৩১।