
আহাদুর রহমান: শেষ কর্মদিবসটি হয় বেদনাবিধুর। এ সময় সহকর্মীরা শান্তনা দিয়ে বিদায় দেন প্রিয় সহকর্মীটিকে। শিক্ষতার পেশায় থাকলে সন্তানতুল্য শিক্ষার্থীরা কেঁদে কেটে বিদায় দেয় তাদের কারিগর শিক্ষকদের। কিন্তু কিছু উশৃংঙ্খল ছাত্রলীগ কর্মী তা হতে দিল না।
গতকাল ৭ ডিসেম্বর ছিলো নাক-কান-গলা বিশেষজ্ঞ মোর্শেদুল হকের সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজে শেষ কর্ম দিবস। এদিন বেলা ১২টার দিকে তিনি সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অপারেশন থিয়েটারে ছিলেন। হঠাৎ সামেক ছাত্রলীগের সভাপতি-সম্পাদকের নেতৃত্বে একদল উশৃংঙ্খল শিক্ষার্থী অপারেশন থিয়াটেরর বাইরে অশ্লীল ও বাজে ভাষায় মোর্শেদুল হককে গালাগাল করতে থাকে। বিদায় নিতে যাওয়া শিক্ষা গুরুর উপর এহেন আচরনে বিষ্মিত হয়েছে মেডিকেলে কর্মরত শিক্ষক-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা। তবে একটি সুত্র জানায় ক্লাসে কোন একটি বিষয়ে মনমালিন্য নিয়ে ছাত্রলীগ কর্মীরা এ কান্ড ঘটায়, যা একেবারেই অনভিপ্রেত। মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের কর্মীরা রাজনীতি তাদের ক্যাম্পাসে করতে পারতেন। কিন্তু হাসাপাতালে এরকম কর্মকান্ড বিধি বর্হিভূত।
নাক-কান-গলা বিশেষজ্ঞ মোর্শেদুল হক সাতনদীকে জানান, আমি শেষ কর্মদিবসে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজের হাসপাতালে অপারেশন থিয়েটারে ছিলাম। এসময় বাইরে থেকে কিছু উশৃংঙ্খল ছাত্র আমাকে উদ্দেশ্য করে বাজে ভাষায় গালাগাল করে। বিষয়টি আমি মেডিকেল কলেজের তত্বাবধায়ককে জানিয়েছি।
এ বিষয়ে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ কুদরত ই খুদা সাতনদীকে জানান, ‘আমি ছাত্রদের সাথে কথা বলেছি তারা আর এ রকম করবেনা। ’
সহকর্মীর শেষ কর্মদিবসে এরকম অপদস্ত করা সহ্য করতে পারেননি সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজের অপর ডাক্তাররা। তারা এ বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী জানিয়েছেন।