
নিজস্ব প্রতিবেদক: সম্প্রতি ঘোষিত হয়েছে দ্বিতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের তফশীল। তফশীল অনুযায়ী সাতক্ষীরা সদরের ১৩টি ইউনিয়নে আগামী ১১ই নভেম্বর শুরু হবে ভোট গ্রহণ। শনিবার সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ১৩ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের (৯ নভেম্বর) নৌকার মনোনিতদের তালিকায় প্রকাশিত হয়। সদরের ১৩নং লাবসা ইউনিয়নের নৌকার মাঝি হিসেবে মনোননয় দেয়া হয়েছে আওয়ামী লীগের পরিক্ষীত নেতা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোঃ নজরুল ইসলামকে। তার মনোননয়নের খবরে তার নিজ বাসভবন ও লাবসার বিভিন্ন এলকায় মিষ্টি বিতরন হয়েছে।
উল্লেখ্য, প্রয়াত জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুনসুর আহমেদ ও সাকী সাহেবের হাত ধরে সিটি কলেজ ছাত্রলীগে যোগদানের মাধ্যমে ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী হিসেবে রাজনীতিতে হাতে খড়ি হয় মোঃ নজরুল ইসলামের। ১৯৮৬ সালে ছাত্রলীগের সিটি কলেজ শাখার সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৮ সালে জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ৯০এর এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে আওয়ামী লীগের হয়ে সক্রিয়ভাবে রাজপথে অংশগ্রহণ করেন। সেই জন্যে একাধিকবার জেলেও যেতে হয় তাকে। ১৯৯২ সালে বিএনপি সরকার গঠনের পর জামায়ত-শিবিরের হাতে একাধিকবার নির্যাতনের শিকার হন তিনি। সেই নির্যাতনের ফলে এখনোও তার ডান হাত ও ডান পা ঠিকমতো নাড়াতে পারেননা তিনি। ১৯৯৮ সালে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে সফলভাবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০টিরও বেশি রাজনৈতিক মামলার আসামী হন ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসলে। এত নির্যাতন ও হামলা-মামলায় আক্রান্ত হয়েও তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতির থেকে বিচ্যুত হননি। ২০০৯ সালে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক পদে ও পরবর্তীতে সাংগঠনিক সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়ে সফলভাবে দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন লাবসা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ২নং এ সদস্য। নজরুল ইসলামের মেঝ ভাই লাবসা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি এবং বর্তমানে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক। তিনি লাবসা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ১নং সদস্য। তার ছোট ভাই লাবসা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
আওয়ামী পরিবারের সদস্য মোঃ নজরুল ইসলাম। তার পরিবারেরও আওয়ামী রাজনীতির সাথে সম্পর্ক অনেক নিবীড়। ১৯৭৪ সালের রিলিফ কমিটির চেয়ারম্যান ও লাবসার পরপর ৫বারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান প্রয়াত সাহাদাৎ হোসেন তার চাচা। সাহাদাৎ হোসেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতির দায়িত্বও পালন করেছেন। ২০০৩ সালে নজরুল ইসলাম লাবসা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রতিদ্ব›িদ্বতা করেন। অল্প কিছু ভোটের ব্যবধানে তিনি সেবার পরাজিত হন। তারপর থেকে ২০০৮ থেকে অদ্যাবধি তাকে নৌকার মনোনয়ন দেয়া হয়নি। হাইব্রীড ও গণফোরাম দলীয়দের মনোনয়ন দিলেও দলের নির্দেশনা অমান্য করে তিনি বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে কোনদিন নির্বাচন করেননি। সব কিছু বিবেচনায় নিয়ে দল তাকে সঠিক মূল্যায়ন করছে বলে মত প্রকাশ করেন আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা।