
নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর: যশোরের মনিরামপুর উপজেলার ১২ নং শ্যামকুড় ইউনিয়নের শ্যামকুড় বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনে চেয়ারম্যান মোঃ আলমগীর হোসেন আলমের প্যানেলকে সমর্থন করায় “দৈনিক যশোর” পত্রিকার ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি মোঃ ইলিয়াস হোসেনের উপর সন্ত্রাসী হামলা ও তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে। গত ১৫ মার্চ (মঙ্গলবার) রাত আনুমানিক ৮.৪৫ মিনিটে শ্যামকুড় বুজতলা বাজারে এ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় মোঃ ইলিয়াস হোসেন ১৬ মার্চ (বুধবার) সকালে বাদী হয়ে বিরোধী প্যানেলের সদস্যসহ অজ্ঞাত ৭ জনের বিরুদ্ধে মনিরামপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। অভিযুক্ত আসামিরা হলেন, উপজেলার শ্যামকুড় গ্রামের মৃত জবেদ আলী দফাদারের ছেলে মোঃ ফজলুর রহমান (৪৫), মুনসুর আলীর ছেলে মোঃ রফিকুল ইসলাম (৩০), জামাল মোড়লের ছেলে মোঃ হাফিজুর রহমান (৩৭), শওকত গাজীর ছেলে মোঃ সবুজ হোসেন (২৫), আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে মোঃ কনক হোসেন (২৪), মৃত ইসলাম গাজীর ছেলে মোঃ ইমরান হোসেন (২৬) ও একই গ্রামের শওকত আলী সরদারের ছেলে মোঃ কামরুল হোসেন (৩২)।
সাংবাদিক মোঃ ইলিয়াস হোসেন বলেন, আমি দৈনিক যশোর পত্রিকার একজন ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি। আমি শ্যামকুড় বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনে স্থানীয় চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মোঃ আলমগীর হোসেন আলমের প্যানেলকে সমর্থন দেওয়ায় গত ১৫ মার্চ (মঙ্গলবার) রাতে বিরোধী পক্ষের সদস্যগণসহ তাদের সহসঙ্গীরা দেশীয় অস্ত্র রাম দা, হকিস্টিক, বোমা, ছুরি নিয়ে বুজতলা বাজারে এসে আপত্তিকর ভাষায় গালাগালি করে ও দাঙ্গা হাঙ্গামা শুরু করেন এসময় আমি নিজের জীবন রক্ষাত্তে ঘটনাস্থল থেকে দৌড়ে পালিয়ে যায়।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যাক্তি বলেন, তারা হঠাৎ করে বাজারে এসে দাঙ্গা হাঙ্গামা শুরু করে মানুষ আতঙ্কের মধ্যে পড়ে পালাতে থাকেন। তাদের হাতে ছিলো বড়ো বড়ো দেশীয় অস্ত্র রাম-দা, হকস্টিক, বোমা তারা আপত্তিকর ভাষায় গালাগালি করছিলো এবং সাংবাদিক ইলিয়াসকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দিচ্ছিলেন তারা। উলেখ্য উক্ত ঘটনার জের ধরে স্থানীয় বুজতলা বাজারের ব্যাবসায়ী এবং সাধারণ মানুষের মাঝে আতংক বিরাজ করছে।এবং তাদের ধারণা বর্তমান ইউপি সদস্যের নেতৃত্বে এই ঘটনা প‚নরায় হতে পারে বলে ধারণা করছে।
এ সম্পর্কে শ্যামকুড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মোঃ আলমগীর হোসেন বলেন, আমি চাই শ্যামকুড় ইউনিয়নকে একটি সুন্দর আধুনিক ইউনিয়ন হিসাবে গড়ে তুলতে যেখানে প্রতি পদে পদে থাকবে শিক্ষত মানুষ। ইউনিয়নে কোনো মাদক সন্ত্রাস দ‚রর্নীতি চলবে না যারা এসব খারাপ কাজকে সমর্থন দিবে তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গত (মঙ্গলবার) রাতের ঘটনায় আমি এলাকাতে ছিলাম না পরবর্তী মুঠো ফোনো সব জানলাম আমি চায় মনিরামপুর থানা পুলিশ এই ঘটনাকে খতিয়ে দেখবে এবং প্রত্যাক্ষ দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করবে।
মনিরামপুর থানার (ওসি) ইনচার্জ ন‚র আলম সিদ্দিকী বলেন, কাল রাতে এই ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই সেখানে পুলিশের একটি টিম পাঠানো হয়েছিলো। আজ সকালে ওই ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে আমরা প্রত্যাক্ষ দোষীদের বিরুদ্ধে দ্রæত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।