
শেখ রিপজা হোসেন : নভেম্বর মাস শেষ শুরু হল খেজুর গাছ কাটার সময়,তারই ধারাবাহিকতায়, সাতক্ষীরার ফিংড়ীতে খেজুর গাছ কাটতে শুরু করছে গাছিরা। হেমন্তের বাতাসে শীতের হিম হিম স্পর্শ। ভোরে কুয়াশার আঁচল সরিয়ে শিশিরবিন্দু মুক্তোদানার মতো দ্যুতি ছড়াতে শুরু করেছে। গ্রামের মাঠজুড়ে কাঁচা-পাকা ধানের মাতাল গন্ধ। শীত শুরুর সঙ্গে সঙ্গে খেজুর গাছ প্রস্তুত করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন বেশ কিছু এলাকার গাছিরা। খেজুর গাছ থেকে রস আহরণের জন্য দা ও কোমরে দড়ি বেঁধে খেজুর গাছে উঠে নিপুণ হাতে গাছ প্রস্তুত করছেন অনেকে।আগে ফিংড়ী ইউনিয়নের এল্লারচর,শিমুলবাড়ীয়া,বালিথা,ফিং
আক্ষেপ করে তারা বলে, আগের মতো গাছ নেই। যেসব গাছ আছে সেগুলোতে তেমন রসও নেই। এখন যেটুকু রস ও গুড় পাওয়া যাচ্ছে আগামী কয়েক বছর পর হয়তো এ গাছের আর দেখাই মিলবে না। ফিংড়ীর এক গাছি বলেন, খেজুর গাছ কমে গেছে। আগের মতো রস হচ্ছে না। অথচ রসের চাহিদা বাড়ছে। খেজুরের রস ও গুড় দিয়ে তৈরি করা হয় হরেক রকমের পিঠা-পুলি, ক্ষির ও পায়েস। চাহিদার তুলনায় খেজুরের রস ও গুড় কম হওয়ায় দাম অনেক বেশি। শীত পড়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছু এলাকার গাছিরা সকাল থেকে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন খেজুর গাছ ঝুড়ার কাজে। কয়েকদিন পরেই এসব গাছ থেকে শুরু হবে রস সংগ্রহ। তিনি বলেন, আগের মতো খেজুর গাছ নেই। আগে সাতক্ষীরার অনেক পরিবার আয়ের অন্যতম উৎস হিসেবে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে খেজুর গাছের ওপর নির্ভরশীল ছিল। তা এখন আর নেই। গ্রামের গাছে রস হলেও শহরের মানুষ কিনে নিয়ে যায় বলে গ্রামের মানুষ রস পায় না।
৮ / ১০বছর আগেও গ্রামে প্রায় প্রতি বাড়িতে খেজুরের রস পাওয়া যেত। কিন্তু প্রায় বিলুপ্তির পথে রসের এই বহুবিধ ব্যবহারের মূল্যবান গাছটি। তীব্র এ রস সংগ্রহের মৌসুমে গাছির সংকটও রয়েছে। দিন দিন খেজুর গাছ বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। যেসব এলাকায় খেজুর গাছ আছে সেগুলোর রস সংগ্রহে গাছির সংকট দেখা দিয়েছে। খেজুর গাছের গুরুত্ব থাকলেও কমে যাচ্ছে খেজুর গাছের সংখ্যা। আগের মতো বাড়ির আশপাশে ও সড়কের পাশে খেজুর গাছ দাঁড়িয়ে থাকার দৃশ্যের দেখা মিলছে না খুব একটা। শুক্রবার (২৯নভেম্বর)সকালে কয়েক জন গাছি সাংবাদিকদের জানায় ইট ভাটায় যদি খেজুর গাছ জালানো বন্ধ না করে তাহলে বিলুপ্ত হবে সকল খেজুর গাছ,কর্তৃপক্ষ একটু সচেতন হলেই বন্ধ হবে খেজুর গাছ কাটা,তাহলে বিলুপ্ত হবেনা খেজুর গাছ,এ জন্য সচেতন মহল কর্তৃপক্ষের সু দৃষ্টি কামনা করেছেন।