
শেখ ইমরান হোসেন, তালা থেকে: আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে তালা উপজেলার খলিলনগর ইউনিয়নে উৎসবমুখর পরিবেশে সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচনের দিন যত ঘনিয়ে আসছে জনগণের উৎসবের উৎকণ্ঠা ততই বাড়ছে। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মটরসাইকেল শোভাযাত্রা ও গণসংযোগে ব্যস্ত সময় পার করছেন খলিলনগর ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুল ইসলাম রাজু । ইউনিয়নের বিভিন্ন শ্রেণি পেশার নানা বয়সী মানুষের সাথে মতবিনিময় করে চলেছেন। ইউনিয়নের একাধিক ব্যক্তি জানান, রাজু চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকে প্রতিটি পাড়ায়/মহল্লায় উন্নায়নের ছোয়া লেগেছে । প্রতিটি গ্রামে উন্নয়নমূলক কাজ অব্যাহত রেখে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছেন। বিভিন্ন রাস্তাঘাট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠিান, ব্রিজ-কালভাট সহ সকল উন্নয়ন মানুষের নজর কেড়েছে । এজন্য আমরা আবারও আজিজুল ইসলাম রাজুকে চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চাই।
বর্তমান চেয়ারম্যান আজিজুল ইসলাম রাজু বলেন, আমি ২০১৬ সালের ইউপি নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বিজয় লাভ করে অদ্যবদি চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িক্ত পালন করছি। এক সময় এই ইউনিয়ন পরিষদে আসতে আসতে মানুষের জুতার তলা ক্ষয় হয়ে যেত। এখন ইউনিয়ন পরিষদে লোক খুজে পাওয়া যায় না, কারন করো কাজ পেইন্ডিং থাকে না, আসলেই কাজ শেষ। কোন প্রকার হয়রানির সুযোগ নাই, টাকা লেনদেনের সুযোগ নাই, টাকার বিনিময়ে আমার জানামতে আমি কোন কাজ করিনাই। যদি কোন ইউপি সদস্য টাকা গ্রহনের কথা শুনি সেই কাজ আমিতো করিইনা বরং তার বিরুদ্ধে একসানে যায়। সত্যকে আকড়ে ধরে আছি। জন্মলগ্নে থেকে আওয়ামীলীগ করি কিন্তু দূভার্গ্য আওয়ামীলীগের টিকিট আমাদের ভাগ্যে নেই। ১৯৯৩ সালে তালা সরকারি কলেজে ছাত্রদল/ছাত্রলীগ মারামারিতে তালা থানার ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নিহত হওয়ার ঘটনাই ১৭ মাস ২৩ দিন জেল খেটেছি। ছাত্র রাজনীতি থেকে অদ্যবদি দালালের খাতায় নাম উঠিনাই আমার। আমি কখনো স্বজন প্রীতি, দূর্ণীতি, পক্ষপাতিত্বে বিচার , টাকা আত্বস্বার্থ, অর্থ কেলেঙ্কারি, ঘর দেওয়ার কেলেঙ্কারি, পুলিশি নির্যাতন করিনা, আজও করিনাই, একটি প্রামাণ দেখেতে পারলে নির্বাচন করবো না। এই আত্ববিশ^াস নিয়ে জনগনের পাশে দাঁড়ায়, কথা বলি, আশাকরি জনগণ আমাকে বিপুল ভোটে নির্বাচিত করবে।