
স্টাফ রিপোর্টার: সাতক্ষীরা সদর উপজেলাে লাবসা ইউনিয়নের দেবনগরে কৃষক আঃ খালেক এর দেড় বিঘা পাটের ক্ষেতে পানি দিয়ে ডুবিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠছে। ঘটনাটি ঘটেছে ঈদের আগের বৃহস্পতিবারে। সরেজমিনে যেয়ে দেখা যায় কৃষক আঃ খালেক এর পাটের ক্ষেতে পাট গাছের মাথা গলায় গলায় পানি উঠে গেছে। পানি ওঠার ফলে পাটগাছগুলো মরতে শুরু করেছে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী পাটক্ষেত চাষী আঃ খালেক বলেন, আমার দেড় বিঘা পাটের জমিতে শত্রুতা মুলক ভাবে ভূগর্ভস্থ পানি দিয়ে ডুবিয়ে দিয়েছে আঃ সামাদ। সে ঘের করার জন্য আমার জমিতে পানি তুলে ভরা পাট নস্ট করে দিছে। আমার পাট নস্ট করার ফলে আঃ সামাদ এর বাড়িতে যেয়ে কথা বললে সে বলে আমি পানি দিয়েছি, তোর পাট নস্ট করেছি, তুই যা পারিস তাই কর। এমন কথা শুনে আমি সেখান থেকে চলে এসেছি। আমার জমির পাট নস্ট করে আবার আমাকেই হুমকি দিচ্ছে। আমার প্রায় ৩০ হাজার টাকা ক্ষতিগ্রস্থ করে দিলো। আমি গরিব মানুষ আমি কি করব কিছু বুঝতে পারছি না। এবিষয়ে আশপাশের মানুষের সাথে কথা বললে তারা জানান, এই জমি হচ্ছে মৃত মকবুল সরদারের। ওয়ারেশ হিসাবে এখন ৪ ছেলে ৩ মেয়ে এই জমির মালিক। আঃ খালেক মৃত মকবুল সরদারের বড় জামাই। বর্তমান ওয়ারেশ মালিকদের মধ্যে মিজানুর রহমান বিদেশ যাওয়ার সময় সবাই মিলে তার বড় বোন জামাই মালেকের কাছে লিখিত স্টাম্পের মাধ্যমে বন্ধক রেখে গেছেন। সেই থেকে আঃ খালেক জমিতে ফসল করে। সম্প্রতি সামাদ ঘের করেছে ভালো কথা তবে পানি তুলে দিয়ে এভাবে ফসল নস্ট করার কোন অধিকার তার নেই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকে বলেন, সামাদের নিজস্ব কোন জমি না থাকলেও অন্যের জমিতে পানি দেই ব্লক হিসেবে। তবে এবার ব্লকে ঘের করবে ঠিক আছে কিন্তু খালেকের পাট বুনা জমিতে শত্রুতা করে সে পানি তুলে দিছে এটা ঠিক নয়, জমিওয়ালা খুব ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে গেলো। এ এ বিষয়ে সামাজিক ভাবে কোন প্রতিকার না হওয়ায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলে জানান ভুক্তভোগী কৃষক আঃ খালেক। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যকর অবস্থা সৃষ্টি হচ্ছে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছে এলাকার সচেতন মহল।