
আকবর হোসেন: পূর্ব শক্রতার জেরে তালার তেতুলিয়া ইউনিয়নের কলিয়া গ্রামে ইদ্রিস গং কর্তৃক, এসআই সাইদুর রহমানের সামনে একই এলাকার মোঃ আবুল হোসেন মন্টুর স্ত্রীকে কুপিয়ে জখম করা সহ ৪জনকে আহত করেছে। বর্তমানে ২ জন তালা হাসপাতালে ভর্তি আছে। তালা থানায় লিখিত এজাহার দায়ের করেছে ভুক্তভোগীরা।
ঘটনার বিবরনে, তেতুলিয়া ইউনিয়নে কলিয়া গ্রামের মৃত কেরামত আলী মাহমুদ এর পুত্র আবুল হোসেন মন্টু(৫০) বলেন, পৈত্রিক জমির মাপকে কেন্দ্র করে, একই এলাকার মৃত সানা তুল্লা মাহমুদ এর পুত্র ইদ্রিস আলী(৩৫), হেকমত আলী মাহমুদ এর পুত্র মিজান মাহমুদ(৫২), জিয়াউর মাহমুদ(৩৫), হামিদ আলী মাহমুদ(৫৫),ফজর আলী মাহমুদ এর পুত্র রবিউল ইসলাম(৩০), রহমান মাহমুদের পুত্র রফিকুল মাহমুদ(২৮) এবং মুত খাদেম আলী মাহমুদ এর পুত্র শাহিনুর মাহমুদ(৩২) উভয়ে মিলে বুধবার (২৪জুন) সকাল ১০ ঘটিকায় আমার নিজ বাড়ীতে ঢুকে জাতপুর ক্যাম্পের এসআই সাইদুর রহমানের সামনে, প্রথমে ইদ্রিস আলী মাহমুদ আমাকে বেধকড় মাধধোর করে। এক পর্যায়ে দেশীয় অস্ত্র গাছকাটা দা দ্বার আমার মাথায় কোপ মারতে গেলে, আমার স্ত্রী হালিমা বেগম(৪৫) ঠেকাতে যায়। সেই দায়ের কোপ হালিমার মাথায় মারে। এতে প্রচুর রক্ত ক্ষরন হয়। বর্তমানে সে তালা হাসপাতালে ভর্তি আছে। তার মাথায় ১৩টি সেলাই দেয়া হয়েছে। এর পরে সকলে মিলে আমার ডিগ্রী পড়–য়া কণ্যা রাফিজা খাতুন(২২) কে শ্লীলতাহানী করে। এর পর আমার মাতা রিজিয়া বেগম(৭০), আমার ভাই মোঃ আবুল হাসান(৩৫), আবুল কাশেম(৪৫), একাদশ শ্রেণীর ছাত্র তামিম(১৭), আমার খালা ভানু বিবি(৬০), আমার এইটে পড়া ছেলে তাজনিম মাহমুদ(১২) কে সন্ত্রাসী কায়দায় আক্রমন করে। আমাদের জীবনের শেষ করে দেয়ার হুমকি দিয়ে বেধকড় মারধোর করে। তারা আমাদের ঘরবাড়ী ভাংচুর করে। আমার মেয়ে রাফিজার গলায় আট আনা ওজনের স্বর্নের চেইন ছিড়ে নেয় এবং আমার স্ত্রীর ১২ আনা ওজনের গলার চেইনও ছিড়ে নেয়। যার আনুমানিক মুল্য ৪৫ হাজার টাকা। এ ছাড়া বাড়ীর টিউব ওয়েল ভেংগে দেয়। তারা এসিল্যান্ড অফিসের নোটিশকে অগ্রাজ্য করে আমাদের উচ্ছেদ করার উদ্দেশ্যে আক্রমন করে। আমরা সুবিচারের আশায় তালা থানায় লিখিত এজাহার দাখিল করেছি।
এ বিষয়ে জাতপুর ক্যাম্পের এসআই সায়েদুর রহমান এর সত্যতা স্বীকার করে বলেন, তারা যদি আইনগত সহায়তা নেয় তবে আমি সাহায্য করিব। এছাড়া আগামী সোমবার ২পক্ষকে নিয়ে বসার ব্যবস্থা করবো।