
নজরুল ইসলাম, তালা থেকে :
তালায় ব্যাংক হতে লোনের কথা বলে ভুক্তভোগী ব্যাবসায়ী জুবায়ের গাজীর কাছ হতে চেক নিয়ে লিগ্যাল নোটিশ প্রেরণের তথ্য পাওয়া গিয়েছে একটি জালিয়াত চক্রের বিরুদ্ধে। নিরুপায় ভুক্তভোগী এই জালিয়াত চক্রের কাছ হতে নিস্তার পাওয়ার জন্য প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের অভিযোগ করেছেন বলে জানা গেছে।
তথ্য মতে, তালা উপজেলার ঘোনা বাজারে পাট ও গরুর ব্যবাসা করেন একই গ্রামের লুৎফর গাজীর ছেলে জুবায়ের গাজী। যার সুবাদে একই ইউনিয়নের নারানপুর গ্রামের মৃত সাহাবুদ্দিন গাজীর ছেলে মোঃ আনিচুর রহমান গাজী লাভলুর সহিত সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেই সুবাদে লাভলুর কাছ হতে ৫হাজার টাকা লভ্যাংশ দেওয়ার শর্তে জুবায়ের ব্যবসা করার জন্য ৪০ হাজার টাকা গ্রহন করেন। ইতিমধ্য উক্ত টাকার থেকে ২৫ হাজার টাকা পরিশোধ করেন জুবায়ের। অতপর ব্যাবসায়ীক টানপোড়ানের কারণে বাকী ১৫হাজার টাকা দিতে হিমশিম খাচ্ছিল জুবায়ের।
সেসময় লাভলু পরামর্শ দেন ব্যাংক থেকে জুবায়েরের নামে ২ লক্ষ টাকা লোন তুলে দিবে। তাহা হতে লাভলুর ১৫ হাজা টাকা শোধ করে বাকি ১ লক্ষ ৮৫ হাজার টাকা দিয়ে জুবায়ের ব্যবসা করিতে পারবে। ওই কথায় জুবায়ের সরল বিশ্বাসে গত ইং- ৩১/১২/২০২২ শনিবার বেলা অনুমান সকাল ১০.০০ টার সময় আমার ঘোনা বাজারে দোকান হইতে মোঃ আনিচুর রহমান গাজী(লাভলু) ব্র্যাক থেকে লোন উঠিয়ে দেওয়ার পূর্ব প্রস্তাব মতে ব্র্যাকের সিকিউরিটি হিসাবে দুটি চেক প্রদান করেন। যার জনতা ব্যাংক তালা শাখার হিসাব নং- ০১০০২২৩৬৮৫৫৩১, এবং চেক নং- ৬০০১২৪২৩৫৯ ও ৬০০১২৪২৩৮৯৮।
চেক প্রদানকালে ঘোনা গ্রামের মৃত শের আলী খাঁ ছেলে মোঃ মানিক খাঁ, ও মৃত খান আব্দুর রাজ্জাক ছেলে মোঃ সোহাগ খান (২৭) উপস্থিত ছিলেন। সে সময় লাভলু চেক গ্রহন করে তখন বলেন আগামী ১মাসের মধ্যে লোন তুলে দিবেন। কিন্তু এখানেই বাধে যত বিপত্তি প্রতারক লাভলু চেক নিয়ে শুরু করেন নানান রকম টালবাহানা। সেই টালবাহানার ধারাবাহিকতায় লাভলু প্রতারনা করে একই গ্রামের মোঃ আফাজউদ্দীন গাজীর কাছে দুটি চেকের পাতা বিক্রয় করে দেন।
তথ্য মতে আরও জানা যায়, মোঃ আফাজউদ্দীন গাজীর বড় ভাই মৃত.খবিরউদ্দীন গাজীর নিকট থেকে জুবায়ের গাজীর পিতা লুৎফর রহমান গাজী ও বড় চাচা আব্দুস সাত্তার গাজীর নিকট থেকে রেজিঃ দলিলমূলে ২২ কাটা সম্পত্তি ক্রয় করেন। এই সম্পত্তি ক্রয় কার কারণে আফাজউদ্দীন গাজী সম্পত্তি ফেরৎ দেওয়ার জন্য জুবায়েরের পরিবারকে বিভিন্ন সময় চাপ সৃষ্টি করে আসছিল। এবং বিগত অনুমান ০১ মাস পূর্বে গায়ের জোরে জমি দখল করতে আসলে এলাকাবাসীর চাপের মুখে চলে যায় আফাজ ও তার সঙ্গীরা।
তারই ধারাবাহিকতায় প্রতারক লাভলুর সহযোগিতায় জমিদাতার ভাই মোঃ আফাজউদ্দীন গাজীসহ তার সাঙ্গ পাঙ্গরা যোগসাজস করে উক্ত চেক দুটি প্রতারনার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের উদ্দেশ্যে প্রতিটি চেকে ৫ পাঁচ লক্ষ টাকা উল্লেখ করে মোট ১০দশ লক্ষ টাকা উল্লেখ করে গত ৩০/০১/২০২৩ তারিখ এ্যাডভোকেট আশরাফুজ্জামান এর মাধ্যমে ৩০ দিন সময় দিয়ে লিগ্যাল নোটিশ প্রেরন করেন।
ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী জুবায়ের গাজী বলেন, লাভলু ও প্রতারক আফাজ গাজীর খপ্পরে পড়েছি আমি। তারা উকিলের মাধ্যমে ১০ লক্ষ টাকার মিথ্যা লিগ্যাল নোটিশ প্রেরণ করেছে। এতে করে আমি ও আমার পরিবার বিপাকে পড়েছি।
তিনি আরও বলেন, এই দুটি চেকের বিষয়ে এলাকার গণমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে শালিখ হয়েছে। তারা চেক উদ্ধার করতে পারেনি। তবে ঘটনা সকলে অবগত রয়েছে।
ঘটনার অভিযুক্ত লাভলু সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি বলেন, আমি জুবায়ের এর কাছে ১৫ হাজার টাকা পাবো তাই চেক নিয়ে ছিলাম। সেই চেক অন্য মানুষের হাতে কেন এমন প্রশ্ন করলে তিনি ফোন কেটে দেন। অপর অভিযুক্ত আফাজ গাজীর সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।