
তালা অফিস থেকে নজরুল ইসলামঃ তালায় উপজেলা প্রশাসন ও মৎস্য অফিসের উদ্যোগে গোপালপুর খাল ও নওয়াপাড়া এলাকার খালে পানি প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করাসহ মাছের প্রজনন ও পরিবেশ রক্ষায় অবৈধ নেট পাটা ও নিষিদ্ধ জাল অপাসারণ কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে।
মঙ্গলবার(১৯ শে আগস্ট) তালা উপজেলার নোয়াপাড়া বাজার এলাকা ও এর আশেপাশের খালসহ গোপালপুর খালে এক ব্যাপক উচ্ছেদ অভিযানে প্রায় ২০টি স্থায়ী অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।
অভিযান চলাকালে, ১০টি চায়না দুয়ারি জাল, একটি বেহুন্দি জাল, বিভিন্ন প্রকার মাছ ধরার অবৈধ সরঞ্জাম ও নেট পাঠা। এসব জাল ও সরঞ্জাম স্থানীয় জনগণের উপস্থিতিতে প্রকাশ্যে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।
জানাযায়, দীর্ঘদিন ধরে এসব খাল ও জলাশয়ে অবৈধ স্থাপনা তৈরি করে জলপ্রবাহের স্বাভাবিক গতিপ্রবাহ ব্যাহত হচ্ছিল। একইসঙ্গে নিষিদ্ধ জাল ব্যবহার করে দেশীয় প্রজাতির মাছের প্রজনন ও বিচরণ ক্ষেত্র ধ্বংস হচ্ছিল। এতে প্রাকৃতিক পরিবেশ ও মৎস্য সম্পদ মারাত্মক হুমকির মুখে পড়ে।
এই অভিযানে নেতৃত্ব দেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মাসুদুর রহমান ও সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার মো. তারিক ইমাম, তেঁতুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ ও ইউপি সদস্যগণ। তাঁরা সর্বাত্মক সহায়তা প্রদান করেন, যাতে অভিযান নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয়। পরে উদ্ধার হওয়া অবৈধ নেট পাটা,নিষিদ্ধ জাল ও সরজ্ঞাম তালা উপজেলা পরিষদ চত্বরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার দীপা রানী সরকার এর উপস্থিতিতে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।
অভিযান শেষে সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার মো. তারিক ইমাম জানান, স্থানীয় জনগণকে সতর্ক করে বলা হয়, জলাশয়, খাল ও নদীতে কোনো ধরনের অবৈধ দখল বা নিষিদ্ধ জাল ব্যবহার সহ্য করা হবে না। খালগুলো যেন অবাধে প্রবাহিত হয় এবং দেশীয় মাছের স্বাভাবিক প্রজনন নিশ্চিত হয়Ñসে জন্য নিয়মিতভাবে এ ধরনের অভিযান পরিচালনা করা হবে।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাসুদুর রহমান বলেন, জলাশয়, খাল ও নদীতে কোনো ধরনের অবৈধ দখল বা নিষিদ্ধ জাল ব্যবহার সহ্য করা হবে না। খালের স্বাভাবিক প্রবাহ ও দেশীয় মাছের প্রজনন রক্ষায় নিয়মিত অভিযান অব্যাহত থাকবে।