
নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরা শহরের সুলতানপুরস্থ সাবেক স্বামীর বসতবাড়িতে তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী ও তার আত্মীয় স্বজন কর্তৃক ভাংচুর, লুটপাট, মিথ্যা অভিযোগ, হয়রাণী ও হুমকির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন মোঃ মজনুর রহমানের ছেলে মোঃ জাকারিয়া হোসেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গত মঙ্গলবার ২৯ আগস্ট‘২০২৩ তারিখে বেলা ১২টার দিকে আমরা কেউ বাড়িতে না থাকায় আমার তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী তামান্না সুলতানা ও তার আত্মীয় স্বজন কর্তৃক আমাদের বসতবাড়িতে ভাংচুর ও লুটপাট করেছে। এ সময় বাড়ির দরজা ভেঙ্গে এবং বসত ঘরে থাকা শোকেস, আলমারি, ড্রেসিং টেবিল, গ্যাসের চুলা, হাঁড়িপাতিলসহ যাবতীয় মালামাল ভাঙচুর করে এবং ঘরে থাকা ৪ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ ১ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকাসহ কিছু মুল্যবান জিনিসপত্র লুটপাট করে। তিনি আরো বলেন, ২০২০ সালের ২৬ নভেম্বর আমি সদর উপজেলার ভাড়ুখালী মাহমুদপুর গ্রামের তাজউদ্দীন আহম্মেদ গাজীর মেয়ে তামান্না সুলতানাকে ৪ লক্ষ টাকা দেনমোহরে বিবাহ করি। পরবর্তীতে আমাদের একটি কন্যা সন্তানও হয়। এরপর থেকে আমার স্ত্রী (তালাকপ্রাপ্ত) তামান্না সুলতানা আমি পিতামাতার একমাত্র পুত্র সন্তান জানা স্বত্তেও আমাকে পৃথক সংসার করার জন্য চাপ সৃষ্টি করে এবং সংসার পৃথক না করলে এবং তার কথা না শুনলে আত্মহত্যার করবে বলে হুমকি দিতো। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে বাড়িতে কাউকে কিছু না বলে একা একা বাবার বাড়িতে চলে যেত। তারপরেও সংসারে শান্তি ফিরিয়ে আনতে আমার স্ত্রীর কথামতো তার বাবা মাছ চাষের জন্য গত ৬ মার্চ ২০২৩ তারিখে নগদ ১ লক্ষ টাকা এবং ১৬ মার্চ ২০২৩ তারিখে চেকের মাধ্যমে ১ লক্ষ টাকা সর্বমোট ২ লক্ষ টাকা চাহিবা মাত্র ফেতর প্রদানের স্বত্বে গ্রহণ করেন। এছাড়া তার বাবা মায়ের কুপরামর্শে গত ৮ জুন ২০২৩ তারিখে আমার দেওয়া ৪ ভরি স্বর্ণের গহনা এবং নগদ ১০ হাজার টাকা নিয়ে বাবার বাড়িতে চলে যায়। এরপর আমিসহ আমার বাবা মা তাকে (তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী) ফিরিয়ে আনার জন্য আত্মীয় স্বজন ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের নিয়ে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হই। আমি সংসার পৃথক না করলে তিনি আর আমার সংসার করবে না বলে জানিয়ে দেন। এরপরেও গত ৩১ জুলাই ২০২৩ তারিখে আমার শ্বশুর-শ্বাশুড়ি আমাদের বাড়িতে এসে আমাকে এবং আমার বৃদ্ধ বাবা মাকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজসহ মারধর করতে উদ্যাত হয়। তৎপ্রেক্ষিতে গত ৪ আগস্ট ২০২৩ তারিখে সাতক্ষীরা থানায় ২১৩নং সাধারণ ডায়েরী এবং অভিযোগ করি। পরবর্তীতে জাতীয় মহিলা সংস্থা জেলা শাখার মাধ্যমে বিষয়টি সমাধানের জন্য তাদের পত্র প্রদান করলেও তারা উপস্থিত হননি। একপর্যায়ে আমি আপোষ মিমাংশা করতে ব্যর্থ হয়ে তাকে তালাক প্রদান করি। এঘটনার জের ধরে গতকাল মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) আমরা কেউ বাড়িতে না থাকায় আমার সাবেক স্ত্রী তামান্না সুলতানা, তার মাতা জিবুন্নাহার (খুকুমনি), তার চাচা মোঃ আফাজ উদ্দিন আহম্মেদ, তার ফুফু শেরিনা, সাতক্ষীরা পৌর আ.লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদ জেলা শাখার সভাপতি রাশেদুজ্জামান রাশিসহ ১৫/১৬ অজ্ঞাত ব্যক্তি আমাদের বাড়িতে উপস্থিত হয়ে হামলা, ভাংচুর ও নগদ টাকাসহ বিভিন্ন মালামাল লুটপাট করে। এব্যাপারে সাতক্ষীরা থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী ও তার পরিবার কর্তৃক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রাণীর হুমকিসহ তাদের নানামুখী ষড়যন্ত্র থেকে রক্ষা পেতে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি।