
সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা
সাতনদী ডেস্ক: সাতক্ষীরা শহরের সুলতানপুরে পূবালী ব্যাংক মার্কেটের মালিক মো. মজনুর রহমানের বসত বাড়িতে ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) দুপুরে তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী ও তার আত্মীয় স্বজন কর্তৃক সাবেক স্বামীর বসতবাড়িতে এ ভাংচুর ও লুটপাট করেছে বলে জানা গেছে। এ সময় বাড়ির দরজা ভেঙ্গে এবং বসত ঘরে থাকা শোকেস, আলমারি, ড্রেসিং টেবিল, ওয়াল শোকেস, গ্যাসের চুলা, হাঁড়িপাতিলসহ যাবতীয় মালামাল ভাঙচুর করে এবং ঘরে থাকা ৪ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ ১ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকাসহ কিছু মুল্যবান জিনিসপত্র লুটপাট করে নিয়ে যায়।
এব্যাপারে মো. মজনুর রহমান বলেন, আমার পুত্র জাকারিয়া হোসেনের সাথে ২০২০ সালের ২৬ নভেম্বর সদর উপজেলার ভাড়ুখালী মাহমুদপুর গ্রামের তাজউদ্দীন আহম্মেদ গাজীর মেয়ে তামান্না সুলতানার সাথে ৪ লক্ষ টাকা দেনমোহরে বিবাহ হয়। পরবর্তীতে তাদের একটি কন্যা সন্তান হয়। এরপর থেকে আমার বৌমা (তালাকপ্রাপ্ত) তামান্না সুলতানা বিভিন্ন সময়ে আমার ছেলে জাকারিয়া হোসেনকে পৃথক সংসার করার জন্য চাপ সৃষ্টি করে আত্মহত্যার ভয়ভীতি দেখাতো। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে বাড়িতে কাউকে কিছু না বলে বাবার বাড়িতে চলে যেত। সংসারের এসব অশান্তি দূর করতে সে তার স্ত্রীর কথা শুনে তার বাবাকে মাছ চাষের জন্য ১ লক্ষ টাকা করে মোট ২ লক্ষ টাকা ঋণ হিসেবে প্রদান করে। এছাড়া গত ৮ জুন ২০২৩ তারিখে ৪ ভরি স্বর্ণের গহনা এবং নগদ ১০ হাজার টাকা নিয়ে বাবার বাড়িতে চলে যায়। এরপর আমরা বৌমাকে ফিরিয়ে আনার জন্য আত্মীয় স্বজন ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের নিয়ে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হই। এরপর গত ৩১ জুলাই ২০২৩ তারিখে আমার ছেলের শ্বশুর-শ্বাশুড়ি আমাদের বাড়িতে এসে আমাকে এবং আমার স্ত্রী রমিছা বেগমকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজসহ মারধর করতে উদ্যাত হয়। একপর্যায়ে আমার ছেলে বাধ্য হয়ে তাকে তালাক প্রদান করা হয়।
এব্যাপারে মো. জাকারিয়া হোসেন জানান, মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) আমরা কেউ বাড়িতে না থাকায় সাতক্ষীরা পৌর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদ জেলা শাখার সভাপতি রাশেদুজ্জামান রাশির নেতৃত্বে আমাদের বাড়িতে হামলা, ভাংচুর ও নগদ টাকাসহ বিভিন্ন মালামাল লুটপাট করে নিয়ে গেছে। এব্যাপারে সাতক্ষীরা থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।