
নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের ঝাউডাঙ্গার ঘোষপাড়ায় চলমান ইটের সলিং এর প্রকল্পের রাস্তা সংস্কার কাজ দু-মাস ধরে বন্ধ করে রাখলেন প্রকল্পের সভাপতি ও সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার। কেন কাজটি এতদিন বন্ধ, কেনোই বা বর্ষায় চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হবে? তাই গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে দ্রæত প্রকল্পের রাস্তা সংস্কার কাজ বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, নির্মাণাধীন রাস্তাটির বেশিরভাগ অংশে পানি জমা, কাদামাটিতে ভরা, রাস্তার কিছু অংশে ইটের ঘ্যস বিছানো হলেও করা হয়নি ইটের সলিংয়ের কাজ। এটি যে নির্মাণাধীন রাস্তা, তা দেখে বোঝার কোনো উপায় নেই। ঝাউডাঙ্গা গ্রামের উজ্জ্বল, রনজিৎ, পরিমলসহ অনেকে জানান, কার্ত্তিক বাবুর বাড়ী হইতে পরিমলের বাড়ীর অভিমুখে লোকাল গর্ভন্যাল সাপোর্ট প্রজেক্ট এলজিএসপি-৩ অর্থ বছর ২০২১ এর প্রকল্পের ইটের সলিং রাস্তা সংস্কারের জন্য ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। যার দৈঘ্য ১৪৪ ফুট ও প্রস্থ ৬ ফুট, প্রকল্পের সভাপতি ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ রুহুল আমিন ও একই ইউনিয়নের ঠিকাদার সিরাজুল ইসলাম। প্রকল্পের সভাপতি ইউপি সদস্য ও ঠিকাদার ওই ইটের সলিং রাস্তা সংস্কারের জন্য জুন মাসে দু-চারজন শ্রমিক দিয়ে নাম মাত্রই দুই-তিন দিনে সামান্য প্রায় ১০ হাজার টাকার মত কাজ করে। তারা আরো জানান, রাস্তাটি ১৫/২০ বছর আগে তৈরী করা হয়েছিল, তারপর থেকে বেহাল দশার এ রাস্তাটি একবারও সংস্কার করা হয়নি। একটু বর্ষা নামলেই এ রাস্তায় পানি জমে যায়। নির্বাচন আসলে জনপ্রতিনিধিদের দেখা মেলে, আর নির্বাচন হয়ে গেলে সারাবছরেও কেউ খোঁজ রাখেনা। এ রাস্তা দিয়ে পঞ্চাশের অর্ধিক পরিবারের যাতায়াত। তাছাড়া এই রাস্তায় এলাকার মানুষের চলাচলের মুল সমস্যা সুশান্তর পুকুরের এলাকায়। সেটুকুও গ্রামবাসীরা নিজ খরচে যাতায়াতের সুবিধার্থে রাস্তায় ঘ্যস দিয়ে কিছুটা চলাচলের উপযোগী করে। রাস্তা সংস্কারের সময় সেই পয়েন্টটিতে সলিং না করে তড়িঘড়ি করে পূর্বের সলিং করা উঁচু-নিচু ৫-১০ ফুট রাস্তার ইট তুলে কয়েক ঝুড়ি বালি ফেলে লোক দেখানো কাজ করে প্রকল্প সমাপ্তি করেছেন বলে জানিয়েছেন প্রকল্পের সভাপতি ইউপি সদস্য রুহুল আমিন।
এ বিষয়ে প্রকল্পের সভাপতি ইউপি সদস্য রুহুল আমিন জানান, এত অল্প টাকার বরাদ্দে ওই রাস্তা সংস্কার কাজ শেষ হয়না। আমি প্রকল্পের বাইরে নিজের পকেট থেকেও টাকা ব্যয় করে দু-মাস আগেই রাস্তার কাজ শেষ করেছি। এখানে কোন অনিয়ম হয়নি। এ বিষয়ে ঠিকাদার সিরাজুল ইসলামের মুঠোফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।