
চেয়ারম্যানকেও তোয়াক্কা করেন না অভিযুক্ত সুবিদার
আব্দুল্লাহ আল মাহফুজ: ক্রয়কৃত সম্পত্তি ও বসত ঘর থেকে লাভলী খাতুন নামে এক অসহায় নারীকে বিতাড়িত করার অভিযোগ উঠেছে সদর উপজেলার কুচপুকুর গ্রামের সুবিদারের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী লাভলী খাতুন ইউপি চেয়ারম্যানের দারস্থ হয়ে প্রতিকার প্রার্থনা করেন। কিন্তু অভিযুক্ত সুবিদার ইউপি চেয়ারম্যানকেও তোয়াক্কা না করায় চেয়ারম্যান আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন লাভলী খাতুনকে। নিজের সম্পত্তি ও বসত ঘর থেকে বিতাড়িত হয়ে লাভলী খাতুন এখন মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
ঘটনা সুত্রে প্রকাশ, আনুমানিক ২৫ বছর পূর্বে কুচপুকুর গ্রামের মোকছেদ গাজীর পুত্র হুমায়ুন কবীর ওরফে সুবিদারের সাথে একই গ্রামের মৃত: সিরাজুল ইসলামের কন্যা লাভলী খাতুনের বিবাহ হয়। বিয়ের পর সুবিদার ও লাভলী দম্পতির একটি কন্যা সন্তান জন্ম হয় যাকে প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার পর বিবাহ দিয়েছেন মাতা লাভলী খাতুন। সুবিদারের টাকার প্রয়োজন হলে অন্যত্র জমি বিক্রয় করতে তৎপর হলে লাভলী খাতুন ভবিষ্যতের আশায় বাবার বাড়ির জমি বিক্রয় করে সুবিদারের উক্ত ৩ শতক জমি ২০১২ সালের ৭ নভেম্বর রেজিষ্ট্রি হেবা ঘোষনা দলিলের মাধ্যমে নিজের নামে ক্রয় করেন। সদর সাব রেজিষ্ট্রি অফিসে যার দলিল নং ৭৬০৪। বাবার বাড়ির টাকায় সে জমিতে বসত ঘরও নির্মাণ করেন তিনি। পরে নারীলিপ্সু সুবিদার লাভলী খাতুন বাড়িতে না থাকার সুবাদে জনৈক নারীকে বিবাহ করে লাভলী খাতুনের বাড়িতে নিয়ে ঘর সংসার করতে থাকেন। লাভলী খাতুন স্বামীর দ্বিতীয় বিবাহের সংবাদ পেয়ে মনকষ্টে তাকে ডিভোর্স দেন। দ্বিতীয় স্ত্রীর সহযোগীতায় সুবিদার লাভলী খাতুনকে তার বসত বাড়িতে উঠতে দিচ্ছে না। বসত বাড়িতে যাওয়ার চেষ্টা করলে মারধর করে তাকে তাড়িয়ে দেন সুবিদার। এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে ভুক্তভোগী লাভলী খাতুন গত ৭ আগস্ট আগরদাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে ইউপি চেয়ারম্যান কবির হোসেন গ্রারম আদালত বসিয়ে পরপর দুইবার নোটিশ করলেও অভিযুক্ত সুবিদার গ্রাম আদালতে হাজির হন নি। ফলে ইউপি চেয়ারম্যান তদন্তপূর্বক রবিবার (৩ সেপ্টেম্বর) একটি প্রতিবেদন পেশ করেন। সেখানে লাভলী খাতুনের অভিযোগ সম্পূর্ণ সত্য ও সুবিদারের কার্যক্রম গ্রাম আদালত অবমাননার শামিল বলে উল্লেখ করে লাভলী খাতুনকে আদালতে মামলা করার পরামর্শ প্রদান করেন।
নিজের ক্রয়কৃত সম্পত্তি ও বসত বাড়ি থেকে বিতাড়িত হওয়া লাভলী খাতুন নিজের জমি ও বসত বাড়ি ফিরে পাওয়ার জন্য জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপার সহ উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।