
নিজস্ব প্রতিবেদক: বিবাহিত, অছাত্র ও মাদকাসক্তদের নিয়ে জেলা ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। ঘোষণা দিয়ে জীবন বৃত্তান্ত নেওয়ার দীর্ঘ ১৮ মাস পর গতকাল মঙ্গলবার ৯ সদস্যের আংশিক সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।
তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, ২০১৯ সালের ৩রা নভেম্বর জেলা ছাত্রলীগের তৎকালীন আংশিক কমিটি বিলুপ্ত ঘোষনা করা হয়। পরে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটি গঠনের ঘোষণা দিয়ে আগ্রহীদের নিকট থেকে জীবনবৃত্তান্ত আহবান করেন। জীবনবৃত্তান্ত জমা দেয়ার শেষ দিন ছিল ২০১৯ সালের ১৮ ডিসেম্বর। ঘোষণা পেয়ে ৬৪জন জীবনবৃত্তান্ত জমা দিয়ে লবিং গ্রুপিং শুরু করে। সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব ও আওয়ামী লীগের একাধীক সংসদ সদস্য তাদের মতামতও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দের কাছে পাঠান। একজন সংসদ সদস্য কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে অছাত্র ও বিবাহিত কাউকে দিয়ে জেলা ছাত্রলীগের কমিটি না করার জন্য পরামর্শ দেন।
গতকাল মঙ্গলবার ঘোষিত আংশিক কমিটির সভাপতি এস এম আশিকুর রহমান আশিক, সহ-সভাপতি হাসিম উদ্দিন হিমেল, ফজলে রাব্বী শাওন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ সুমন হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী শাহেদ পারভেজ ইমন, হাসানুজ্জামান শাওন, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মহিদুল ইসলাম ও মাসুম পারভেজ হালিম। ঘোষিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আসিফ শাহবাজ খানকে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য করার কথা বলা হয়েছে।
ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র মোতবেক বয়সসীমা ২৯ হলেও সভাপতি এস এম আশিকুর আশিকের বয়স ২৯ পার হয়ে গেছে। ব্যক্তি জীবনে তিনি বিবাহিতও বটে। ১০ লক্ষ টাকার দেন মোহরে সুলতানপুরের এক বিধবাকে বিয়ে করেন। বিবাহের এফিডেভিটের ও কাবিননামার কপি সাতনদীর হাতে আছে। পরে মেয়েটি আশিককে ডিভোর্স দিয়ে অনত্র সংসার পেতেছে। তার ছাত্রত্ব নিয়ে প্রশ্ন আছে।
অপরদিকে সাধারণ সম্পাদক মোঃ সুমন হোসেনের মা আম্বিয়া খাতুন জামায়াতের রোকন, চাচা জেলা জামায়াতের সুরা সদস্য এবং তিনি নিজে মাদকাসক্ত বলে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নেতৃত্বের কাছে অভিযোগও গিয়েছিল।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এস এম আশিকুর রহমান জানান, তিনি এখন ‘ল’ কলেজের ছাত্র। ব্যাক্তিগত জীবনে তিনি বিবাহিত নন। তিনি বিবাহিত মর্মে জাল একটি এফিডেভিট ও কাবিননামা স্যোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। পরে বিষয়টি নিয়ে আমি থানায় জিডি করি। এফিডেভিটে স্বাক্ষরদানকারী ও কাবিননামা রেজিষ্ট্রার পৃথকভাবে লিখিত দিয়েছে এফিডেভিটে ও কাবিননামায় তাদের স্বাক্ষর জাল করা হয়েছে। তার রাজনৈতিক ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার জন্য একটি মহল অপপ্রচার চালাচ্ছে।
জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তার বিরুদ্ধের অভিযোগ সমূহ সত্য নয় উল্লেখ করে বলেন, আমার মামারা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত। আমার পরিবারও আওয়ামী রাজনীতির সাথে যুক্ত। আমার চাচাতো চাচা মোস্তাফিজুর রহমান নাসিম জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য। আমার মা জামায়াতের রোকন এবং চাচা জামায়াতের সুরা সদস্য এ কথাও বানোয়াট। আমি মাদকাসক্তও নই। একটি মহল আমার আমার পরিবারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার জন্যে এমন অপপ্রচারে নেমেছে।