
বিনোদন ডেস্ক:
দেশের জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী ফাহমিদা নবী। ক্যারিয়ারে প্রাপ্তির পাল্লাই ভারি। সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় নব্বইয়ের দশকের এই শিল্পী।
আজ ৬ মার্চ দুপুরে তিনি ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন। লিখেছেন: ‘একজন নারী হিসেবে, একজন মানুষ হিসেবে বলতে চাই- সব মানুষকে খুশী করা খুবই কঠিন কাজ। কে আসলে কিসে খুশী হয় সেটা তার নিজের ব্যাপার। কিন্তু যারা মেধা দিয়ে কাজ মানুষের সামনে নিয়ে আসে তাদের অনেক চিন্তা ভাবনা করে সামনে আসতে হয়।তাতে তাদের কাজটি কতোটা বিনোদিত করতে পারলো সেটা কিন্তু একজন মেধা সৃষ্টিশীল কর্মির বিবেচ্য বিষয় হতে পারে না।হতে পারে সে কতোটা সৃজনশীল কাজ তুলে ধরলো!’
‘মানুষ বা দর্শক তাতে কতোটা আনন্দ পেলো তার চেয়ে বেশী গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, সে কতোটা সচেতন একটা বার্তা পেলো। সবার কাছ থেকে সবাই শুধুই বিনোদিত হতে চায় না। চায় কিছু রুচিশীল, সচেতন বার্তা যা হয়তো তার জীবনেও ভালো কিছু বয়ে আনবে। কারণ কেউ যখন কাওকে তার রোল মডেল বা উদাহরণ ভাবতে চায়, তখন সে তার রোল মডেলকে ফলো করে, সেখানে বিনোদনটাই বড় বিষয় নয়।বড় বিষয় এই মানুষটার যাপিত জীবন কেমন, সাধারন কিন্তু অর্থপূর্নতাই মূলত আগলে ধরে।সম্মানের শুরুটা সেখান থেকেই শুরু হয়।’‘
সোশ্যাল মিডিয়ার কারণে সবাই সবা্বকে দেখে থাকেন উল্লেখ্য করে তিনি লিখেন, ‘বর্তমান সময়ে সবাই সবাইকে দেখে থাকে প্রযুক্তির কারণে।মন বিচারক ঠিকই সবটাই ভাবায়।সুতরাং ভাবনা তৈরী করা আমার কাজ।তাই কিসে মানুষ সবসময় খুশী হবে সেই চিন্তা করা সৃষ্টিশীল মানুষের বিবেচ্য বিষয় নয়।বিষয় হলো কি আমি সমাজের জন্য কি প্রতিফলন ফেলতে পারছি সেটাই বিষয় আমার কাছে।আমি সব সময় চাই আমার দ্বারা মানুষের চেতনা জাগ্রত হোক, সচেতনা বাড়ুক, ধারায় বিশ্বাস গ্রহনযোগ্য হোক। সারাজীবন চেয়েছি অল্প শ্রোতা হলেও অসুবিধা নাই, কিন্তু ভালো গানের শ্রোতাই আমি তৈরীতে ব্যস্ত থাকবো।’
চেহারা বা বয়স নিয়ে তার ভাষ্য, ‘চেহারার চেয়ে ব্যক্তিত্ব বেশী প্রয়োজনীয় শর্ত।বয়স বাড়ার বিষয়, বয়সের সৌন্দর্য একেক সময় একেক রকম।’