
বিশেষ প্রতিবেদক,তালা: তালা উপজেলায় ঘূর্ণিঝড় বুলবুল ব্যাপক পরিমান আঘাত এনেছে। নষ্ট হয়েছে শীতকালীন সবজী,পানের বরজ, ঘরবাড়ী, উপড়ে পড়েছে গাছপালা, ভাসিয়ে নিয়ে গেছে মাছের ঘের। তারই মধ্যে উপজেলার খলিলনগর ইউনিয়নের প্রাস্তিক পান চাষী বিল্লাল শেখ। নিজের জমি নেই, বর্গা নিয়ে চাষ করেছে ৪বিঘা পান ও ২ বিঘা কপি। সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে লোন নিয়ে এজমি চাষ করেন। এবছর ২০ থেকে ২৫ লক্ষ টাকা বেচাকেনা হবে বলে জানান তিনি, কিন্তু ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের কারনে সব কিছুই শেষ হয়ে গেছে। বরজ ঠিক করতে ২ থেকে ৩ লক্ষ টাকা লাগবে, আমি এত টাকা পাবো কোথায় , সরকারি ভাবে সহযোগীতা পেলে আবার আগের মত চলতে পারতাম বলে কান্না জড়িত কন্ঠে জানান বিল্লাল শেখ (৫৫)।
তার জমিতে কাজ করা আবুল সরদার জানান, ঘূর্ণিঝড় বুলবুল বিল্লাল ভায়ের সব কিছু শেষ করে দিয়েছে। সে আমাদের জোনখরজ দেবে কিভাবে আর কিস্তির টাকা দেবে কিভাবে আর খাবে কি।
জাপা নেতা শিক্ষক জাহাঙ্গীর হাসান জানান, প্রান্তিক একজন চাষী বিল্লাল। জমি বর্গা নিয়ে বিভিন্ন জায়গা থেকে লোন নিয়ে পান ও কপি চাষ করেছিলো কিন্তু ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাতে তার সব কিছু শেষ হয়ে গেছে। এখন সে দিশেহারা পাগলপ্রায়। সরকারের সহযোগীতা পেলে সে ঘুরে দাঁড়াতে পারবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) শুভাঙ্কর শেখর দাশ জানান, ঘূর্ণিঝড় বুলবুল ব্যাপক পরিমান আঘাত এনেছে। নষ্ট হয়েছে শীতকালীন সবজী, আমন ধান, পান ও সরিষা। তালাতে কৃষি জমি চাষ হয়েছে ৯৯৪২ হেক্টর,আক্রান্ত হয়েছে ৮১০ হেক্টর, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১৮১ হেক্টর এবং ৮০৭ মেট্রিক টন ফসলের ক্ষতি হয়েছে। উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের নির্দেশ মোতাবেক ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সাহায্য সহযোগীতা করা হবে ।
তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইকবাল হোসেন জানান, ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। বিল্লালের বিষয়ে আমি শুনেছি। নির্দেশনা মোতাবেক সাহায্য প্রদান করা হবে।