
নিজস্ব প্রতিবেদক:
নির্বাচনী তপশীল উপেক্ষা করে মনোনয়নপত্র বিক্রয় না করার অভিযোগ উঠেছে সাতক্ষীরা সদরের আড়ুয়াখালি পায়রাডাঙা মুজিদিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার আবু তাহেরের বিরুদ্ধে। রবিবার সকাল ১০ টা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত মনোনয়ন সংগ্রহ করতে ব্যর্থ ওই মাদ্রাসার তিনজন অভিভাবক প্রিজাইডিং অফিসার সদর উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাঃ আব্দুল গণি ও বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানরে কাছে এ অভিযোগ করেন।
আড়–য়াখালি পায়রাডাঙা মুজিদিয়া দাখিল মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র আব্দুল আজিজের বাবা হাজী আসাদুর রহমান, একই প্রতিষ্ঠানের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রঅ শামীমা আক্তারের বাবা মোঃ শফিকুল ইসলাম ও সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী মোহিনী খাতুনের বাবা আবতাবউদ্দিন জানান, গত ২ জানুয়ারি এ মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির নির্বাচন তপশীল ঘোষণা করা হয়। ৯, ১০ ও ১১ জানুয়ারি সকাল ১০ টা থেকে বিকেল টারটা পর্যন্ত মাদ্রাসার সুপার মোঃ আবু তাহেরকে মনোয়নপত্র বিতরণ ও জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়।
ঘোষিত নির্বাচন তপশীল অনুযায়ি মাদ্রাসার এক একজন শিক্ষাথীর অভিভাবক হিসেবে তারা রবিবার সকাল ১১ টার দিকে ও বিকেল পৌনে চারটার দিকে মাদ্রাসায় এলে সুপারকে পাওয়া যায়নি। মোবাইল ফোনে তার অবস্থান জানতে চাইলে তিনি ব্যক্তিগত ঝামেলার কারণে পায়রাডাঙায় আছেন বলে জানান।
একইসাথে তিনি মনোনয়নপত্র বিক্রি না করে ভোটবহির্ভুত সমঝোতার চেষ্টা চালাচ্ছেন বলে জানান। একপর্যায়ে তাকে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে তিনি অফিসে না আসার কথা আবারো জানান। তবে সোমবারও তিনি অফিসে আসবেন কিনা তা জানতে অপারগতা প্রকাশ করেন। একই ভাবে ভোটার তালিকা দিতে রাজী হননি ওই সুপার।
স্থানীয়দের অভিযোগ মাদ্রাসা সুপার স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধির দ্বারা প্রভাবিত হয়ে তারই অনুসারি কয়েকজনের কাছে মনোনয়নপত্র বিক্রি করে নিজেদের পছন্দের কমিটি গঠণের চেষ্টা চালানোর কারণে এ লুকোচুরি খেলছেন।
জানতে চাইলে আড়–য়াখালি পায়রাডাঙা মুজিদিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার আবু তাহের রবিবার এ প্রতিবেদককে জানান, নিজের ব্যক্তিগত কাজের কারণে তিনি মাদ্রাসায় আসেননি। তাই মনোনয়নপত্র বিতরণ করতে পারেননি। কথোপকথনের একপর্যায়ে তিনি বলেন, ভোট নয়, সমঝোতার মাধ্যমে কমিটি বানানোর চেষ্টা করছেন তিনি।
আড়–য়াখালি পায়রাডাঙা মুজিদিয়া দাখিল মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটি নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিজাডিং অফিসার সদর উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাঃ আব্দুল গণি রবিবার সাংবাদিকদের বলেন, মনোনয়নপত্র বিলি বা বিক্রি করা বা জমা নেওয়া বা ভোটার তালিকা দেওয়ার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট মাদ্রাসা সুপারের। তিনি তার দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মোঃ কায়সার আহম্মেদ বলেন, নির্বাচন তপশীল অনুযায়ি যথা সময়ে মনোনয়ন বিক্রি করার দায়িত্ব যার উপর থাকবে তিনি সে দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলে বা কোন প্রকার অনিয়ম করলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।