
স্টাফ রিপোর্টার, দেবহাটা: আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে দেবহাটা উপজেলার কুলিয়ার সাবেক ইউপি সদস্যের একটি কল রেকর্ড ভাইরাল হয়েছে। উক্ত কথোপ-কথনে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নৌকার সমার্থক ও সাবেক ইউপি সদস্যের বেশ কিছু কথা হয়েছে। কথার একপর্যায়ে ঐ ইউপি সদস্য প্রয়োজন হলে ফায়ার (গুলি) করে দ’ু-দশজনকে ফেলে দেবেন বলে উল্লেখ করেন। আর এঘটনায় নিজের ও কর্মী সমার্থকদের জীবনের নিরাপত্তার জন্য একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন কুলিয়া ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের নৌকার প্রার্থী আসাদুল ইসলাম। বুধবার দুপুরে দেবহাটা থানায় তিনি এ লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কুলিয়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য মোশারফ হোসেন মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে কুলিয়ার মৃত ময়নুউদ্দিনের ছেলে ইমদাদুলের ব্যক্তিগত মোবাইল নাম্বারে কল করেন। নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে কথার একপর্যায়ে তিনি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে উদ্দেশ্য করে জীবননাশের হুমকি প্রদান করেন। এমনকি বিভিন্ন ধরনের ক্ষয়ক্ষতি করবেন বলেও জানান। লিখিত অভিযোগে আরো জানা যায়, ২০১৩ সালে কুলিয়ার বিসমিল্লাহ ব্রিকসে মাটির ব্যবসা সংক্রান্ত বিষয়ে গোলযোগে প্রকাশ্য দিবালোকে ফাঁকা গুলি ছোড়েন এই সাবেক ইউপি সদস্য। যা স্থানীয়দের মনে ত্রাস সৃষ্টি করে বলে উল্লেখ করা হয়েছে অভিযোগে। এবিষয়ে সাবেক ইউপি সদস্য মোশারফ হোসেন জানান, আমার সাথে ইমদাদুলের কথা হয়েছিল কিন্তু আমি গুলি করার কথা বলিনি। তাছাড়া আমি টানা দুইবারের মেম্বর ও ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি হয়ে নৌকার বিরুদ্ধে যাব কেনো? কুলিয়ার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও নৌকার প্রার্থী আসাদুল ইসলাম জানান, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পূর্বশত্রুতার জের ধরে আমাকে গুলি করে হত্যার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আমি নিজের ও জনগনের নিরাপত্তা চেয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। দেবহাটা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ফরিদ হোসেন জানান, বিষয়টি নিয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। নির্বাচনকে ঘিরে কেউ পরিবেশ অশান্ত করতে না পারে সে ব্যাপারে পুলিশ সজাগ আছে। আমরা সুষ্ঠ ও সুন্দর পরিবেশে ভোট সম্পন্ন করতে কঠোর অবস্থানে আছি। উল্লেখ্য যে, সাবেক ইউপি সদস্য মোশারফ হোসেনের নামে একাধীক মামলা রয়েছে। যার মধ্যে কিছু মামলায় ইতোমধ্যে চার্জশীট ভূক্ত হয়েছে। বিগত ইউপি নির্বাচনে তিনি জয়লাভ করার কিছুদিন পর স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেন। পরে উপ-নির্বাচনে পুনরায় অংশ নিয়ে পরাজিত হন। আসন্ন ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিব্য নির্বাচনে তিনি আবারো প্রার্থীতার হয়েছেন।