
হাফিজুর রহমান, কালিগঞ্জ প্রতিনিধি: কালিগঞ্জ উপজেলা জুড়ে সাজ সাজ রব। র্দীঘ ৪বছর পর বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) আবার কালিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনকে কেন্দ্র করে উপজেলার প্রধান প্রধান সড়কে তোরণ নির্মাণ সহ হোসেন শহীদ সোরওয়ার্দী পার্ক সম্মেলন স্থল সাজানো হয়েছে বর্নিল সাজে। দল বাঁচাতে এবং হাইব্রিড, কাউয়া, অনু প্রবেশকারী মুক্ত করে তৃমূলের মতামতের ভিত্তি করে একটি কোন্দল মুক্ত পূর্নাঙ্গ কমিটি গঠনের দাবি কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের কাছে। ইতিমধ্যে খুলনা বিভাগের আওয়ামীগের সাংগঠনিক দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ মঙ্গলবার সাতক্ষীরায় আগমন করেছে। কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে বুধবার সকাল ১০টার সময় তুফান কনভেনশান সেন্টারে জেলা আওয়ামীলীগের বর্ধিত সভায় অংশগ্রহন করেন। সভার মাধ্যমে কালিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলনের সমস্যা চিহ্নিত করে কাউন্সিলার তালিকা করা নিয়ে একটি সুনিদিষ্ট নির্দেশনার পরে দলীয় নেতা-কর্মীদের মাঝে প্রাণ চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। আজকের সম্মেলনের প্রধান অতিথি উপস্থিত থাকবেন সাবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের উপদেষ্ট মন্ডলীর সদস্য অধ্যাপক ডাঃ অ.ফ.ম রুহুল হক এমপি, উদ্বোধক হিসাবে উপস্থিত থাকবেন সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাবেক এমপি মুনছুর আহম্মেদ, প্রধান বক্তা হিসাবে উপস্থিত থাকবেন হুইপ আবু সাইদ আল-মাহমুদ স্বপন এমপি, বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন কেন্দ্রীয় নিবার্হী সদস্য এস.এম কামাল হোসেন, জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহম্মেদ রবি এমপি, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম, শ্যামনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এস.এম জগলুল হায়দার এমপি, উক্ত সম্মেলন সভাপত্বি করবেন কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলন প্রস্তুুতি কমিটির আহবায়ক কালিগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠিক সম্পাদক এনামুল হোসেন ছোট্ট, বুধবার জেলা আওয়ামীলীগের বর্ধিত সভায় কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশন অনুযায়ী আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থীদের বাদ দিয়ে সাংগঠিক নিয়ম অনুযায়ী ১২টি ইউনিয়নে কাউন্সিলার তালিকা গঠন নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে যে বিরোধ ছিল সেটা পরিষ্কার করা হয়েছে। আজ সম্মেলনে প্রতিটি ইউনিয়নের ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, এবং ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, এবং দলীয় নৌকার প্রার্থী মিলে ২১জন কাউন্সিলার তালিকার সঙ্গে অতিরিক্ত দু-পক্ষের ১০জন কাউন্সিলার নিয়ে মোট প্রতিটি ইউনিয়নের ৩১জন কাউন্সিলার মিলে ১২টি ইউনিয়ন এবং থানা আওয়ামীগের কাউন্সিলার মিলে মোট ৩৮৭জন কাউন্সিলার তাদের মূল্যবান মতামত ও সমজোথা না নির্বাচনের মার্ধম্যে আগামী ৩ বছরের জন্য যোগ্য নেতা নির্বাচন করার সুযোগ রয়েছে। তার ক্ষন গণনা আজ বেলা ১০টা থেকে কমিটি গঠন, নির্বাচন, এবং ফলাফল ঘোষণার অপেক্ষায় চেয়ে থাকতে হবে। তবে এবার বিতর্কিত নির্বাচনি পরিচালনা কমিটি থেকে হাউব্রিড অনুপ্রেবশ কারীদের তালিকা থেকে বাদ না দেওয়া সহ প্রধান মন্ত্রী ও দলীয় সভানেত্রী নির্দেশ উপেক্ষিত থাকায় দলের নেতাকর্মীদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। আজকের সম্মেলনে সভাপতি পদে এখনো পর্যন্ত যে ৩জনের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন কালিঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ ও সম্পাদক জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য এ্যাডভোকেট মোজাহার হোসেন কান্টু, থানা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক ও তারালী ইউনিয়ন পরিষদের এনামুল হোসেন ছোট্ট, এবং জেলা আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা মাষ্টার নরিম আলী। সাধারণ সম্পাদক পদে নেতা কর্মীদের মুখে যাদের নাম শুনা যাচ্ছে থানা যুবলীগের সভাপতি, ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান, থানা আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগনিক সম্পাদক ডি.এম সিরাজুল ইসলাম, ধলবাড়ীয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি সজল মুর্খাজী, থানা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান প্রয়াত আলহাজ্ব শেখ ওহেদুজ্জামানের ছোট পুত্র শেখ আবুল কাশেম সহ ৪জনের নাম শোন যাচ্ছে। বিগত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে যারা দলীয় প্রতীক নৌকার বিরোধীতা করে সতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলেন এর মধ্যে দলীয় সভানেত্রী প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমা করলেও তারা কেউ এ সম্মেলনে কাউন্সিলার বা প্রার্থী হতে পারবে না। যে কারনে থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাইদ মেহেদী এবং , থানা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান প্রয়াত আলহাজ্ব শেখ ওহেদুজ্জামানের বড় পুত্র কুশুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান সুমন কোন দলীয় পদে পতিদন্দিতা করতে পারবেন না। যে কারণে আজকের সম্মেলন এনামুল হোসেন ছোট গুপ এবং অপরদিকে থানা আওয়ামীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদ মেহেদীর সমর্থিত এ্যাডভোকেটের মধ্যে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক দলীয় পদ নিয়ে জোর প্রতিদন্দিতা এবং উত্তেজনা বিরাজ করছে। তাই আজ আগামী ৩ বছরের নেতৃত্বে কারা আসবেন কারা কোন্দল মুক্ত, ও দলের আগাছা মুক্ত করে দলকে নেতৃত্ব দিবেন সেটা ৩৮৭জন কাউন্সিলারের মূল্যবান মতামত এবং গোপন ব্যালেটের উপনে নির্ভর করছে। যদি এর ব্যতয় ঘটে তা হলে র্দীঘ ২ যুগ ধরে কালিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে দন্দ চলে আসছে সেটা আবারও চলতে থাকবে। বিগত ২০১৫সালে ১১ জানুয়ারী সম্মেলনের মাধ্যমে শুধুমাত্র সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার পথ থেকে আজ ৪ বছরের মধ্যে এই দন্দের কারনে পূর্নাঙ্গ কমিটি গঠনে ব্যার্থ হয়। যে কারনে একক ভাবে দল পরিচালনার সুযোগে ২০১৩ সালের পরে মামলা হামলা ও পুলিশি গ্রেপ্তার থেকে বাঁচতে জামায়াত-শিবির, বি,এন,পির অনেক নেতা কর্মী মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে কেউ আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ,স্বেচ্ছাসেবকলীগ,ছাত্রলীগ, কৃষকলীগ, শ্রমীকলীগ, তাঁতিলীগ, তরুণলীগ সহ বহু অখ্যাতলীগের থানা সহ বিভিন্ন ইউনিয়ন কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকের পদ কিনে বর্তমান তারা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। যে কারনে প্রকৃত ত্যাগী আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীরা লজ্জায় অভিমানে আতœগোপনে দলীয় কর্মকান্ড থেকে বিরত আছে। এর ফল হিসাবে বিগত উপজেলা পরিষদ নির্বাচন এবং ইউনিয়ন পরিষদের উপ-নির্বাচনে আওয়ামীলীগের দলীয় প্রার্থীদের জামানত হারাতে হয়েছে। এখনো তাদেও মধ্যে থেকে মোজাম, আনিছুর রহমান, নুরুজ্জামান, রাজুর মত অখ্যাত অনু প্রবেশকারীরা বর্তমান কালিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলন প্রস্তুুতি কমিটিতে নাম নিয়ে বিভিন্ন ইউনিয়নে সভা-সমাবেশ করার অভিযোগ দিয়েও তার প্রতিকার হয়নি। যে কারনে আজকের সম্মেলনে থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদ মেহেদীর গ্রুপে সভাপতি প্রার্থী হিসাবে এ্যাডভোকেট মোজাহার কান্টু, মাষ্টার নরীম আলী, এবং সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হিসাবে নাজমুল আহসান, এবং ডি. এম সিরাজুল ইসলামে নাম শোনা গেলেও সময় মত নির্দিষ্ট প্রার্থী ঘোষণা করতে পারে। অপরদিকে এনামুল হোসেন ছোটর গ্রুপে সভাপতি হিসাবে সে নিজে একক প্রার্থী হলেও সাধারণ সম্পাদক পদে সজল মুখার্জী ও আবুল কাশেমের নাম শোনা যাচ্ছে। তবে সমঝোতা হলে সময় মত একক প্রার্থী দিতে পারে। তবে সব কিছু সম্মেলনে উপস্থিত কেন্দ্রীয় কমিটি যদি দুই গ্রুপের সমন্বয়ে কমিটি ঘোষনা করলে এবং সেটা উভয় গ্রুপ মেনে নিলে কালিগঞ্জ আওয়ামীলীগ আগামীতে পথ চলার সহায়ক মনে করছে দলীয় নেতা-কর্মীরা।