
হাফিজুর রহমান, কালিগঞ্জ: স্বামী-স্ত্রীর গোলযেগের সূত্র থেকে স্ত্রীর বাবার বাড়ীতে নির্যাতনের মিথ্যা খবর দেয়াকে কেন্দ্র করে বাবার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে জামাইয়ের বাড়ীতে এসে কোন কিছু না শুনে বেধড়ক পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে শশুর, শাশুড়ী, স্বামী, মামা শশুর সহ গ্রামবাসীর। রবিবার বেলা ৫টার সময় কালিগঞ্জ উপজেলার চাম্পাফুল ইউনিয়নের বালাপোতা গ্রামে এই লোমর্ষক ঘটনা ঘটে। ঐ সময় স্থানীয়রা রক্তাক্ত আহতদের আশাংকা জনক অবস্থায় উদ্ধার করে কালিগঞ্জ স্বাস্থ-কমপ্লেক্স-এ ভর্তি করে।
আহতরা হলো উপজেলার বালাপোতা গ্রামের মৃত লুৎফর রহমানের পুত্র শেখ আঃ রহিম (৬৬), তার স্ত্রী আসমা খাতুন (৫৫), মৃত মহিউদ্দীনের পুত্র শেখ সাহেব আলী (৫০) এবং শেখ আঃ রহিমের পুত্র আসাদুল ইসলাম (৩৬)। উক্ত ঘটনায় আছাদুল ইসলাম বাদী হয়ে আশাশুনি থানার কোদন্ডা আদালতপুর গ্রামের শ^শুর আঃ খালেক গাজী সহ ২০/২৫ কে আসামী করে সোমবার সন্ধ্যায় থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছে।
থানা সূত্রে এবং হাসাপাতালে শেখ আঃ রহিম, আসমা খাতুন, সাহেব আলী স্থানীয় ইউপি সদস্য সাইলু সহ একাধিক ব্যাক্তি জানান, বালাপোতা গ্রামের শেখ আঃ রহিমের পুত্র আসাদুল ইসলামের সঙ্গে পাশ^বর্তী আশাশুনির কোদন্ডা আদালতপুর গ্রামের মাদার গাজীর পুত্র আঃ খালেক গাজীর কন্যা রোকসানার সঙ্গে ১৫ বছর আগে বিবাহ হয়। বিবাহের পর হতে বনি-বনা না হওযায় আঃ রহিম তার পুত্র আসাদুল ও স্ত্রী রোকসানাকে আলাদা করে দেয়। বর্তমান সংসারে ৩টি কন্যা সন্তান আছে। আসাদুল ইসলামের সঙ্গে স্ত্রী রোকসোনার প্রায় ঝগড়া বিবাদ লেগে থাকত। গত রবিবার বিকালে স্ত্রী রোকসানা ৩ কন্যা সন্তান মিলে স্বামী আসাদুলকে মারপিট করে বাবা আঃ খালেকের কাছে নির্যাতনের মোবাইল করে। উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে শশুর আঃ খালেকের নেতৃত্বে তার পুত্র উজ্জ্বল গাজী আশাশুনি থানার কোদন্ডা আদালত পুর গ্রামের ওজিহারের পুত্র বিল্লাল, আক্তারুল, ইসরাফিল, এবং আঃ আজিজের পুত্র সাদ্দাম হোসেন সহ ৪০/৫০ জন সন্ত্রাসি লাঠি-সোঠা নিয়ে বালাপোতা গ্রামের এসে কোন কিছু না শুনে না বুঝে মেয়ের শশুর আঃ রহিম, শাশুড়ি আসমা খাতুন, জামাই আসাদুল ইসলামকে বেধড়ক লাঠি দিয়ে পিটিয়ে বাড়ী ঘর ভাংচুর ও লুট পাট চালিয়ে তার কন্যা রোকসানা খাতুনকে সাথে নিয়ে চলে যায়।
যাওয়ার পথে কোদন্ডা বাজারে মামা শশুরের দোকানে যেয়ে প্রকাশ্যে হাটে শেখ সাহেব আলীকে পেয়ে বেধড়ক পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। বিষয়টি কালিগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবতী বালাপোতা গ্রামের জনসাধারণ এবং আশাশুনি থানার আদালত পুর গ্রামের জন সাধারণের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এ বিষয়ে চাম্পাফুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক গাইন জানান বিষয়টি অত্যান্ত দুঃখ জনক মেয়ের ফোন পেয়েই বাবা কোন কিছু না জেনে না বুঝে জামাইয়ের বাড়ীতে ন্যাককার জনক আচরণ করেছে। বিষয়টি নিয়ে থানায় মামলায় প্রস্তুতি চলেছে।