
হাফিজুর রহমানঃ
নিজে ছবি না উঠাইয়াও তানভীর সিদ্দিকী সাইমুন নামে জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্রের জাতীয় পরিচয় পত্রে (স্মার্ট কার্ডে) সোহাগ হোসেন নামে এক প্রতিবন্ধীর ছবি দেওয়ায় চক্রান্তকারীদের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার নিকট ভুক্তভোগীর অভিযোগ দায়ের করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত ১৮ মার্চ সকাল ১১টার সময় সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার বিষ্ণুপুর পরিষদ প্রাঙ্গণে। অভিযোগের সূত্র থেকে জানা যায়, কালিগঞ্জ উপজেলার মুকুন্দ মধুসুদনপুর গ্রামের এস,এম, আবু তালেবের পুত্র তানভীর সিদ্দিকী চাইমুন ঢাকা সাভার জিরানী বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান(বিকেএসসি) হতে এইচ,এস,সি পাশ করে বর্তমান জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে প্রথম বর্ষের ছাত্র হিসাবে পড়া শুনা করিতেছে। তার বয়স ১৮ বছর পূর্ন হওয়ায় নতুন ভোটার তালিকার জন্য তথ্য সংগ্রহের সময় চৌমুহনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের লাইব্রেয়ান হাবিবুর রহমান তথ্য সংগ্রহকারী এবং বেজুয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফেরদৌস হোসেন ইউনিয়ণ সুপার ভাইজার হিসাবে কাজ করে। ঐসময় ভার্সিটির ছাত্র তানভীর সিদ্দিকী ছাইমুন বাড়িতে না থাকলেও তার পিতা তালেবের নিকট হতে ভোটার তথ্য ফোরামে তথ্য সংগ্রহ করে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে ইউনিয়ন পরিষদে ছবি উঠানোর জন্য নির্ধারিত তারিখে ভার্সিটিতে পরীক্ষা থাকায় উপস্থিত হতে না পারায় তার ছবি উঠানো সম্ভব হয়নি। এর পরে ধেকা গেছে গত ৮/৩/২১ ইংতারিখে উপজেলা নির্বাচন অফিস হতে ইউনিয়ন পরিষদে জাতীয় পরিচয় পত্র বা স্মার্ট কার্ড সংগ্রহ করার জন্য তার পিতা কে খবর দেওয়া হয় ঐ সময় ইউনিয়ন পরিষদ হতে জাতীয় পরিচয় পত্র (৫১১১৫৭১৩৯৩) সংগ্রহ করে দেখা যায় জাতীয় পরিচয় পত্র বা স্মার্ট কার্ডে ছবি না ওঠালেও তার ছবির জায়গায় শ্রীরামপুর গ্রামের সিদ্দিকুর রহমানের প্রতিবন্ধী পুত্র সোহাগ হোসেনের ছবি সহ পরিচয় পত্র দেওয়া হয়। এব্যাপারে ভুক্তভোগী ছাত্রের পিতা আবু তালেব সাতনদী কে জানান স্থানীয় ভোটার তথ্য সংগ্রহকারী ও সুপার ভাইজার ফেরদাউস হোসেনের সঙ্গে রাজনৈতিক মত বিরোধ থাকায় আমাকে এবং আমার ছেলেকে কেউ হয়রানি করার জন্য পরিকল্পিত ভাবে প্রতিবন্ধী সোহাগের ছবি সরবরাহ করে বিতর্কিত করেছে। বিষয়টি তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে শাস্তি দাবী করেন। উপজেলা নির্বাচন অফিসের নির্বাচন কর্মকর্তা না থাকায় তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।