
কালিগঞ্জ ব্যুরো: এ যেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের চোর-পুলিশ খেলা, চোরকে চুরি করতে বলে আবার গৃহস্থকে সতর্ক থাকতে বলে। এই ভাবে দিনে-দুপুরে পানি উন্নয়ন বোর্ড ওয়াপদার জায়গা জোরপ‚র্বক দখল করে ঘর নির্মাণ করছে। কিন্তু স্থানীয়রা পানি উন্নয়ন বোর্ড কতৃপক্ষকে জানালে, তারা দোকান ঘর নির্মাণের কাজ বন্ধ করার কথা বলে চলে যায়। চলে যাওয়ার সাথে সাথে অবৈধ দখলদাররা তারা নির্মাণকাজ পুনরায় চালু করতে থাকে। ঘটনাটি ঘটেছে (১ নভেম্বর) সোমবার সকাল ১০টার সময় সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার চাম্পাফুল ইউনিয়নের উজিরপুর বাজারের হাড়িভাঙ্গা সড়কের পাশে। উক্ত জায়গায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের জমি দখল করে করে স্থায়ী পাঁকা দোকান-ঘর নির্মাণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার সকালে সরেজমিনে গেলে হরশিত, মুজিবর, নেপাল, নিরপদ সহ একাধিক ব্যক্তি সাংবাদিকদের জানান, চাঁদখালী গ্রামের রেজাউল মোড়লের ছেলে নাহিদ মোড়ল (৩২) পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জমি কোনো অনুমতি ছাড়া প্রভাব বিস্তার করে দখল করছেন। স্থানীয় রেজাউল এর ছেলে পুলিশ কনস্টেবল চাকরি করার সুবাদে প্রভাব খাটিয়ে সরকারী আইনের কোনো তোয়াক্কা না করে গায়ের জোরে রাতের আধাঁরে সরকারি জমি দখল করে গত কয়েকদিন যাবৎ এ পাঁকা বিম করে ঘর নির্মাণ চালিয়ে যেতে দেখা গেছে। আশাশুনি ওয়াপাদা অফিসে ফোন দিলে দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা দোকান-ঘর এর নির্মাণ কাজ বন্ধ করার কথা বললেও সেটাকে পরবর্তীতে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে বহাল তবিয়তে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। নাম না বলা কয়েকজন স্থানীয়রা গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, স্থানীয় সাংবাদিক পরিধারীর আতœীয় পরিচয়ে নির্মাণ করে দেবে বলে মোটা অংকের টাকা নিয়েছে অবৈধ দখলদারদের কাছ থেকে। জানাগেছে এই কথিত সাংবাদিক পরিচয়ধারীর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি সহ বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় প্রতিনিধি ও কার্ড দেওয়ার নাম করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে অভিযোগ রয়েছে । আশাশুনির ৩ নম্বর ফোল্ডারের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তার কাছে মুঠোফোনে জিজ্ঞাসা করলে তিনি সাংবাদিকদের জানান, কেউ যদি অবৈধ ভাবে সরকারি সম্পত্তি দখল করে থাকে তাহলে আমরা তাকে প্রথমেই বাঁধা প্রদান করে থাকি। পরে নোটিশ করে চিঠি দিয়ে তাকে ৩ থেকে ৭ দিনের মধ্যে সব কিছু সরিয়ে নিতে বলা হয়। তার পরেই আমরা ভেঙ্গে ফেলার জন্য আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়ে থাকি । সুতরাং, অপরাধী যতই ক্ষমতাবান লোক হোক না কেন, আইনের ঊর্ধ্বে কেউ নই, অপরাধ করলে তাকে শাস্তি পেতেই হবে। সরকারি সম্পত্তি রক্ষা করতে আমরা কঠোর অবস্থানে আছি। এ ব্যাপারে অবৈধ দখলদার রেজাউলের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।