
নিজস্ব প্রতিবেদক, কালিগঞ্জ: কালিগঞ্জে আদালতের নির্দেশ অমান্য করে মেজো ভাই আব্দুস সালামের জমি জোরপূর্বক দখল করে দোকানঘর ও বসত বাড়ি নির্মাণের ছবি তুলতে গিয়ে দৈনিক সাতনদীর নিজস্ব প্রতিবেদক হাবিবুল্লাহ বাহার ও দৈনিক আজকের সাতক্ষীরা পত্রিকার নিজস্ব প্রতিবেদক শিমুল হোসেনকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ, ক্যামেরা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করার চেষ্টা চালায়। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২টার দিকে সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলার ধলবাড়িয়া ইউনিয়নের ধলবাড়িয়া গ্রামে। ভুক্তভোগী আব্দুস সালাম জানান, আমি খুলনাতে সড়ক ও জনপথ বিভাগে চাকুরী করার সুবাদে আমার বড় ভাই কালাম আমার ১৫ শতক জমি জোরপূর্বক দখল করে দোকান ঘর ও বাড়ি নির্মাণ কাজ করছে। বাঁধা প্রদান করতে গেলে সে আমার পরিবারবর্গের প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে এবং স্থানীয় ভাড়াটিয়া ক্যাডার বাহিনীর ভয় দেখাতে থাকে। উক্ত জমি নিয়ে আদালতে মামলা চলমান রহিয়াছে ও উভয় পক্ষে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য আদালত ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৪৫ ধারায় আদেশ প্রদান করে গত ১৩/০৯/২০২১ ইং তারিখে। কিন্তু আমার ভাই আবুল কালাম আজাদ (৫০) ও তার ছেলে মাসুদ রানা (২২) স্থানীয় কিছু ক্যাডার বাহিনী নিয়ে আমার জমি দখল করে দোকান ঘর ও বসতবাড়ি নির্মাণ করতে থাকে। বিষয়টি প্রশাসন কে অবগত করার পরও কোন লাভ হয়নি। বিষয়টি আমি সাংবাদিকদের জানাই। সাংবাদিকরা বিষয়টি জানার পরে সরেজমিনে জোরপূর্বক ঘর নির্মাণের ছবি তোলার জন্য ঘটনাস্থলে যায়। সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে আবুল কালাম আজাদ ও তার ছেলে মাসুদ রানা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ, ক্যামেরা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা ও সাংবাদিকদের শারীরিকভাবে নির্যাতনের চেষ্টা চালায়। এক পর্যায়ে সাংবাদিকরা নিজেকে রক্ষার্থে প্রতিহত করার চেষ্টা চালায়। পরবর্তীতে সাংবাদিকদের সাথে চাঁদাবাজি মামলার হুমকি ও স্থানীয় ক্যাডার বাহিনী দিয়ে জীবননাশের হুমকি প্রদান করে। এ ঘটনায় আবুল কালাম আজাদ ও আব্দুস সালামের পিতা পিয়ার আলী সাংবাদিকদের জানান, আমি সন্তানদের জমি জায়গা উভয়পক্ষের সমানভাবে ভাব করিয়া দিয়েছি। কিন্তু আমার বড় ছেলে আবুল কালাম আজাদ মেজো ছেলে আব্দুস সালামের ১৫ শতক জায়গা জোরপূর্বক দখল করে দোকান ঘর ও বসতবাড়ি নির্মাণ করছে। এবং সাংবাদিকদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও চাঁদাবাজি মামলার হুমকি বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। আমি কয়েকবার বাঁধা প্রদান করিতে গেলে পিতা হিসেবে আমাকে অসম্মান, গালিগালাজ ও গায়ে হাত তোলার চেষ্টা চালায়। বিষয়টি আমি প্রশাসনের কাছে বিচারের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি। এদিকে সাংবাদিকদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ, ক্যামেরা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা ও চাঁদাবাজি মামলার হুমকির বিষয়টি উপজেলার অন্যান্য সাংবাদিকরা জানার পরে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। সাংবাদিকরা বলেন, সাংবাদিকতা একটি মহৎ পেশা। আমরা সর্বোচ্চ ঝুঁকি ও নিরাপত্তাহীনতার ভিতরে সাংবাদিকতা করি। বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের কাছে আইনানুগ ব্যবস্থার জোর দাবি জানাচ্ছি।