
নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরার কলারোয়ার চিহ্নিত ভূমিদস্যু, মিথ্যে মামলার ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজি চক্রের হোতা, প্রতারক মোঃ আনছার আলীর হাত থেকে রক্ষা পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী। মঙ্গলবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন এই দাবি জানান রোয়া উপজেলার গদখালী এলাকার বাসিন্দারা।
সংবাদ সম্মেলনে এলাকাবাসীর পক্ষ্যে লিখিত বক্তব্যে কবিরুজ্জামান বলেন, একই মৃত.শাহাদত হোসেনের ছেলে চিহ্নিত ভূমিদস্যু, প্রতারক ও মিথ্যে মামলার ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজি চক্রের হোতা আনছার আলীর অত্যাচারে আমরা এলাকাবাসী অতিষ্ট হয়ে উঠেছি। স্থানীয় প্রভাবশালীদের সাথে সক্ষ্যতা থাকায় তার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। তাছাড়া কেউ প্রতিবাদ করতে গেলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ, মারপিটসহ মিথ্যে মামলায় জাড়িয়ে তাকে হয়রানি করে। চাঁদাবাজ আনছার আলীর নির্দিষ্ট কোন পেশা নেই। সে এলাকার মানুষের জমি জালিয়াতির মাধ্যমে কাগজপত্র সৃষ্টি করে বিভিন্ন ব্যক্তিদের কাছে বিক্রি করে। কিন্তু ওই জমি কাউকে দখল দেয় না। এছাড়া এলাকায় কোন ব্যক্তি বাড়িÑঘর নির্মাণ করতে গেলে তাকে চাঁদা দিতে হয়। চাঁদার টাকা না পেলে আনছার আলী নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়ে তাকে মিথ্যে মামলায় হয়রানি করে।
এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, কলারোয়ার ঝিকরা মৌজার সাবেক ২৮০ ও বর্তমান ১১০৩৮ দাগের যে ১৪ শতক জমিতে আনছার আলী বসবাস করছে সেটাও তার না। মামলায় হেরে গিয়েও প্রভাবশালীদের সহযোগিতায় সে দখলে আছে। ওই জমি তার পিতা শাহাদত হোসেন একই এলাকার মৃত. ইয়াকুব আলী দালালের কাছ থেকে বন্দক রেখেছিলেন। কিন্তু বন্দকের টাকা পরিশোধ করে সম্পত্তি ফেরত দেওয়ার আগেই শাহাদাত হোসেন মারা যান। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে প্রতারক আনছার আলী ওই জমি সম্পূর্ণ অবৈধভাবে দখল করে রেখেছেন। এছাড়া ওই জমির পাশে বসবাসকারী প্রায় ২০ থেকে ২৫ জন ব্যক্তিদের ভোগদখলীয় সম্পত্তিতে তার জমি রয়েছে মর্মে সে চাঁদা দাবি করে আসছে। চাঁদার টাকা না দেওয়ায় আদালতে মিথ্যে মামলা দায়ের করে তাদেরকে হয়রানি করে যাচ্ছে।
এলাকাবাসী আরো বলেন, প্রতারক, মামলাবাজ ও চিহ্নিত চাঁদাবাজ আনছার আলীর কারণে এলাকায় বসবাস করা আমাদের পক্ষে প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। আনছার আলী আইন ও আদালতের তোয়াক্কা না করে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে চাঁদাবাজি, অবৈধভাবে সম্পত্তি দখল, জমি বিক্রয়ের নামে মানুষের সাথে প্রতারণা করেই চলেছে। তার অত্যাচারে এলাকায় বসবাসকারী আমরা ২৫/৩০টি পরিবারের সদস্যরা একরকম দিশেহারা হয়ে পড়েছি।
তারা অবিলম্বে ওই মামলাবাজ, চাঁদাবাজ আনছার আলীর হাত থেকে রক্ষা পেতে প্রধানমন্ত্রী ও সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।