
নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরা পৌরসভার কামালনগরে নির্মিতব্য ভবনের সাটারিং ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। রেজাউলের নেতৃত্বে হাসান সহ অজ্ঞাত ৮/১০জন ব্যক্তি হামলা চালিয়ে এ ভাংচুর করেন। এ সময় সেখানে নিরব দর্শকের ভ‚মিকা পালন করেছেন সাতক্ষীরা সদর থানার এস আই সুভাস।
ভবন মালিক আব্দুল গফুর ও প্রত্যক্ষ্যদর্শীদের সূত্রে জানা যায়, ‘সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার সময় এসআই সুভাস আব্দুল গফুরকে ফোন দিয়ে বাড়ির সামনে আসতে বলেন। গফুর বাড়ি থেকে আসার আগেই রেজাউল ইসলামের নেতৃত্বে জামাতা হাসানসহ ৮/১০জন অজ্ঞাত ব্যক্তি মিলে বাড়িটির সাটারিং ভাংচুর করেন। এ সময় ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে ভাংচুর প্রত্যক্ষ করলেও কোন বাধা প্রদান করেননি এসআই সুভাস। রেজউলদের ভাংচুর শেষে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার নোটিশ আব্দুল গফুরের হাতে ধরিয়ে দিয়ে এসআই সুভাস চলে যান। ভাংচুরের বিষয়ে সাতক্ষীরা সদর থানায় অবহিত করলে এসআই মহম্মদ এর নেতৃত্বে একদল পুলিশ সদস্য ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।’
এ বিষয়ে আব্দুল গফুর বলেন, পৈত্রিকসূত্রে পাওয়া এ জমিতে আমি বাড়ি বানানোর কাজ শুরু করার সময় রেজাউলরা পৌরসভায় একবার নালিশ করে। সেই নালিশের সত্যতা না পেয়ে পৌরসভার সার্ভেয়ার ও কাউন্সিলর আমাকে কাজ চালিয়ে যেতে বলেন। সেই সাথে জমির নকশাও করে দিয়ে যান। আমি পৌরসভা থেকে বাড়ির প্লান পাশ করিয়ে সেই নকশা মোতাবেক বাড়ি তৈরির কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। জমির সকল কাগজপত্রাদিও আমার নামে আছে। আমার এ জমির খাজনাও পরিশোধিত। তারপরও রেজাউলরা ১৪৫ ধারা জারি করে যা আমি ভাংচুরের পরে জানতে পারি। রেজাউল-হাসানরা যখন ভাংচুর করছে তখন শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার নোটিশ হাতে দাড়িয়ে দেখছিলেন এসআই সুভাস। কোন রূপ বাধাও প্রদান করেননি। ভাংচুর শেষ হলে তিনি আমার হাতে নোটিশ ধরিয়ে দিয়ে চলে যান।
আব্দুল গফুর আরও জানান, ভাংচুরের বিষয়ে সদর থানার ওসি’র সাথে সাক্ষাৎ করতে যেয়ে নিজ শশুড় মুক্তিযুদ্ধের নবম সেক্টরের সাব সেক্টর কমান্ডার শাহাজান মাষ্টারের পরিচয় দিলে এসআই সুভাস তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করেন।
ভাংচুরের প্রত্যক্ষদর্শী ইয়াসিন জানান, মাগরিবের পরপরই রেজাউল, হাসানসহ আরও ৮/১০জন এসে বিল্ডিয়ের শাটারিং ভেঙে নিচে ফেলে দেয়। এ সময় দারোগা সুভাস দাড়িয়ে তা তদারকি করছিলেন। তারপর গালমন্দ করে শান্তি বজায় রাখার কথা বলে চলে যান।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী পুলিশ কর্মকর্তা মহম্মদ জানান, ঘটনাস্থলে ভাংচুরের প্রমাণ পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত রেজাউলের সাথে একাধিবার ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু তিনি ফোন ধরেননি।
এদিকে, সন্ধ্যায় নির্মিতব্য ভবন ভাংচুরের ঘটনায় ওই এলাকা মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। শান্তি রক্ষা করতে এসে এসআই সুভাসের নীরব ভ‚মিকায় হতবাক স্থানীয়রা।