
বিশেষ প্রতিবেদক,তালা: তালা উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি, তালা প্রেসক্লাবের সভাপতি এবং তালা সদর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সফল চেয়ারম্যান সাংবাদিক এস,এম নজরুল ইসলাম একজন সাদা মনের ও মানবিক মানুষ হিসেবে স্থান করে নিয়েছেন তালার প্রতিটি মানুষের হৃদয়ে।
যার মহৎ কাজের জন্য তিনি আজ এতটা প্রিয় ও ভালবাসার মানুষ হয়েছেন সকলের কাছে। শিক্ষা কার্যক্রম থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যসেবা,খাদ্য সহায়তা, বিপদে পাশে দাঁড়ানো, চাকরিতে সহায়তা, মামলা মোকদ্দমা ও আইনী জটিলতা সহ সকল প্রকার সহায়তার জন্য তিনি এক রোল মডেল। দলীয় ভাবে তিনি দেশের বৃহত্তর রাজনৈতিক দলের একটি উপজেলার সভাপতি হওয়া সত্বেও তার কাছে সকল দলের মানুষের ভালবাসার ও সহযোগিতার সমান সুযোগ পেয়ে থাকেন তালা উপজেলা বাসী। তিনি তার ব্যাবসায়িক জীবনে অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে হয়েছেন সমাজের বিত্তশালীদের একজন।কিন্তু তাঁর মনে কোন বিত্তশালী অহংকার পরিলক্ষিত হয়না। এছাড়াও তিনি পৈতৃক সূত্রে অনেক বিত্তবান ছিলেন। কিন্তু তিনি সর্বদা পরিশ্রমে বিশ্বাস করেন।
তিনি মানবিক হয়ে উঠেছেন তাঁর ছোটবেলা থেকে পরিবারের শিক্ষায়। তিনি নিজের জমিতে, তার পিতার নামে একটি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়( আধ্যাতিক সাধক এজাহার আলী স্মৃতি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়) স্থাপন করে একালার শিক্ষা বিস্তারে সর্বদা ছুটে চলেন। তাছাড়া গরীব অসহায় ও মেধাবীদের মাঝে বই খাতা সহ শিক্ষা কার্যক্রম এর যাবতীয় সহযোগীতা করে থাকেন। এমনকি সকল বোর্ড পরীক্ষার ফি নিজ দায়িত্বে তিনিই প্রদান করে থাকেন।
তার সবথেকে বেশি সহায়তা পায় মানুষ স্বাস্থ্যসেবা খাতে। তার নিকট কোন অসহায় রোগী সহায়তার জন্য আসলে, তিনি ঐ রোগীকে নিজের পরিবারের সদস্য মনে করে চিকিৎসা করানোর সুব্যবস্থা করে থাকেন। এমনকি রোগমুক্তি না হওয়া পর্যন্ত রোগীর সকল দায়িত্ব ও নিয়ে থাকেন। তার দৃষ্টান্ত হিসেবে তালা সদর ইউনিয়ন পরিষদের ৪নং ওয়ার্ডের খানপুর গ্রামের নওশের বিশ্বাস এর স্ত্রী কুলসুম বেগম ( ৬০) পেটের ১৮ কেজি টিউমার অপারেশনসহ সকল ব্যায়ভার বহন করে সার্বিক সহযোগিতার মাধ্যমে তাকে সুস্থ্য করে রোগীর বাসায় রেখে আসেন, ৭ নং ওয়ার্ডের শিবপুর গ্রামের আব্দুল লতিফ সেখ (৪৫)এর দুটি ভাল্বনষ্ট হয়েগেলে তার জীবন বাঁচাতে কয়েক লক্ষ টাকা প্রদান করে তার সুষ্ঠু চিকিৎসার ব্যবস্থা করে সুস্থ করে তোলেন। একই গ্রামের দ্বিপঙ্কর দাশের ভাল্ব দুটি নষ্টছিল তাকে ভারত বাংলাদেশ চিকিৎসার সকল দায়ভার গ্রহনকরে তার যাবতীয় চিকিৎসার সুব্যবস্থা করেন। এছাড়া তার নিজস্ব ইউনিয়ন ছাড়া তালা উপজেলার সকল ইউনিয়নের অগনিত মানুষের চিকিৎসা সেবায় অসামান্ন্য অবদানের জন্য হয়েছেন অসহায়ের বন্ধু।
তার নিকট যদি কেউ কন্যাদয় জানান তাহলে তার বিয়ের প্রায় অর্ধেক এমনকি কিছু কিছু যায়গায় সম্পূর্ণ খরচ তিনি নিজেই বহন করে বিবাহ সম্পন্ন করান।তিনি অসহায় ও দরিদ্র পরিবারের সন্তান দের জন্য সরকারি বেসরকারি চাকরি লাভের জন্য নিজের টাকা ব্যয় করে তাদের চাকরী লাভে অসামান্য ভূমিকা রাখেন।
তিনি মামলা মোকদ্দমা ও বিভিন্ন আইনী জটিলতার হাত থেকে রক্ষা পেতে ও ন্যয় বিচারের সার্থে সর্বদা অসহায়ের পাশে থেকে কাজ করে চলেছেন নিরলস ভাবে।তিনি অসহায় পরিবারের মাঝে সর্বদা বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করে চলেছেন। তাছাড়া তিনি বলেন দরিদ্র ও অসহায়ের জন্য সাংবাদিক এস এম নজরুল ইসলাম এর দরজা সর্বদা খোলা আছে।
এভাবে সব সময় মানুষের বিপদে আপদে ছুটে চলা একজন মহান ব্যক্তি হলেন সাংবাদিক এস এম নজরুল ইসলাম। সর্বদা মানুষের কল্যাণে নিয়োজিত প্রাণ হিসেবে মানুষের হ্রদয়ে ছুয়ে গেছেন এই মানবিক মানুষ। তিনি তালা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান থাকাকালীন,তালা সদর ইউনিয়ন এ যে পরিমাণ উন্নয়ন কার্যক্রম করেছেন।
তথ্যসূত্রে তালা সদর ইউনিয়ন এর ইতিহাসে আজও কোন চেয়ারম্যান এমন উন্নয়ন ঘটাতে পারেনি। সাংবাদিক এস এম নজরুল ইসলাম এর এসকল কাজের জন্য তিনি সাতক্ষীরা জেলার ৭৮ টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এর ভিতর সর্বশ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান হিসেবে জেলা প্রশাসকের নিকট হতে সর্বোচ্চ সন্মাননা পান। তার সার্বিক কাজ বিবেচনায় আজ তিনি তালা বাসীর নিকট একজন মানবিক মানুষ হিসেবে পরিচিত হয়েছেন।
সাংবাদিক এসএম নজরুল ইসলাম বলেন,মানব ধর্মই শ্রেষ্ট ধর্ম।মানুষের ভালোবাসা পাওয়ারজন্য আমি নিরলাস ভাবে কাজ করে যাচ্ছি।মানুষের দোয়ায় মানুষে বড় হয়, মানুষের বদ দোয়ায় মানুষ ধ্বংস হয়।তাই মানবের কল্যাণে নিবেদিত হয়ে আমি আমৃত্যু জনগণের সাথে থেকে সেবা মূলক কাজ করে যেতে চাই। আমার পিতা আধ্যাত্নিক সাধক এজাহার আলী মানব ধর্মে বিশ^াসী ছিলেন।প্রত্যেক সৃষ্টির মাঝে সৃষ্টিকর্তার বিচরণ,আল্লাহুকে পেতে হলে আল্লাহুর সৃষ্টিজীবকে ভালোবাসতে হবে।