
সচ্চিদানন্দদেসদয়: আশাশুনি উপজেলার শোভনালীতে আওয়ামীলীগের ৬নং ওয়ার্ডে সদস্য তালিকা নিয়ে অহেতুক অভিযোগ ও ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে প্রপাগান্ডা চালানোর প্রতিবাদে আওয়ামীলীগ নেতা সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন। রোববার দুপুরে আশাশুনি প্রেস ক্লাবে এ সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
শোভনালী ইউনিয়নের বালিয়াপুর গ্রামের মৃত আতিয়ার রহমান মোল্যার পুত্র ও ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান লিখিত বক্তব্যে বলেন, তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত থাকাবস্থায় ২০০৪ সালে সাধারণ সদস্য এবং ২০১৪ সালে ওয়ার্ড আ’লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। কমিটির সদস্য মঞ্জুরুল ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগ সাধারণ সম্পাদক, মোহন আ’লীগের সদস্য ও বিগত নির্বাচনে নৌকার এজেন্ট ছিলেন। তারা সাংগঠনিক ভাবে দলের দায়িত্বের সদ্ব্যাবহারের পাশাপাশি সামাজিক দায়বদ্ধতা নিয়ে অন্যায়ের প্রতিবাদ ও প্রতিকারে কাজ করে এসেছেন। এতে এলাকার আঃ জলিল সরদার (স্বেচ্ছাসেবকলীগ থেকে বহিস্কৃত) যিনি নৌকা প্রতীকের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহনকারী, সুদখোর, মাদক ব্যবসার সহযোগিতা কারী ও সীমানা পীলার ব্যবসায়ী ও কিছুদিন পূর্বে এলাকায় ভূয়া ডিবি সদস্য এনে জনৈক পরিতোষের কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়া, ডাকাতি ও হত্যা মামলার আসামী হয়েও একই নামের নিরাপরাধী একজনকে কৌশলে ঢুকিয়ে নিজেকে মুক্তকরা এবং অবৈধ ব্যবসার মাধ্যমে কোটি টাকার সম্পদের অধিকারী তিনি এবং রউফ মোল্যা যিনি আওয়ামীলীগ করলেও তার পরিবারের অধিকাংশ সদস্য জামাত-বিএনপির সাথে যুক্ত, যিনি মানুষকে মিথ্যা মামলায় হয়রানীসহ নানা অপকর্মের সাথে জড়িত, তিনিসহ তারা তাদের দুজনের অপকর্মের বিরোধীতা করায় তারা প্রতিশোধ স্পৃহা হয়ে ওঠেন। হাবিবুর রহমান আরও বলেন, গত ৩১ অক্টোবর ওয়ার্ড সদস্য তালিকা জমার পর থেকে তারা বেপরোয়া হয়ে উঠে ষড়যন্ত্র শুরু করেন। কোন সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে সেটি উপজেলা কর্মকর্তাদের কাছে অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নেবেন ঘোষণা থাকলেও তারা তা না করে আমাদের বিরুদ্ধে প্রপাগান্ডা শুরু করেছেন। জহুরুল ও মোহনকে জামাত, সাইদ গাজী ও খোদেজাকে জামাত শিবির পরিবারের সদস্য বলা হয়েছে। অথচ তারা বা তাদের পরিবার কখনো জামাত শিবির, রাজাকার ছিলনা বা নেই। আমাকে মাছ চুরি ও ছিনিয়ে নেওয়া, রাস্তায় কাঠ ও অগ্নিসংযোগের কাল্পনিক ও মিথ্যা অভিযোগ এনে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করিয়েছে। তিনি উক্ত অভিযোগ ও সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে প্রকৃত অপরাধীদের বিরুদ্ধে প্রশাসন ও দলীয় ভাবে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।