
নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রতারনার মাধ্যমে হাতিয়ে নেয়া অর্থ ভাগা-ভাগি নিয়ে আশাশুনি কূল্যায় দু’গ্রæপের মধ্যে ঠেলা-ঠেলি হয়েছে। ঘটনা ঘটার সাথে সাথে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মহড়া দিয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকাল দশটায় এ ঘটনা ঘটে।
তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, রহমত-আজিজুল গ্রæপের মধ্য থেকে সম্প্রতি ৪/৫ জন দলছুট হয়ে যায় নানা অজুহাতে। তাদের অভিযোগ ছিল সিন্ডিকেট প্রধান রহমত তাদের পদে পদে ঠকায়। এ ঘটনার জের ধরে রহমতের নেতৃত্বাধীন গ্রæপ থেকে আজিজুলের নেতৃত্বে সালাম, জুয়েল সহ ৪/৫ জন দলছুট হয়ে নতুন গ্রæপ করেছে।
বেশ কয়েকদিন যাবৎ রহমত তার সহযোগী রেজাউল সহ দুই তিনজনকে নিয়ে আজিজুরের বাড়ীতে হাতিয়ে নেয়া টাকার হিস্যা নিতে যায়। বিষয়টি নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির উপক্রমও হয়।
বৃহষ্পতিবার রাতে দু’পক্ষের মধ্যে পাল্টা-পাল্টি হুমকিও চলে। দু’পক্ষই দু’পক্ষকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। শুক্রবার সকাল দশটায় রহমত তার দলবল নিয়ে বাবলুর মোড়ে যায়। সেখানে গিয়ে প্রতিপক্ষকে ফোন করে বাবলুর মোড়ে আসতে বলে রহমত। আজিজুলের প্রতিপক্ষরা লাঠি-সোটা নিয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হয়। রহমতের সাথে থাকা ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মুসা দু’পক্ষকে শান্ত করে। তবে কিল ঘুষিতে জামা ছিড়ে যায় রেজাউলের। এক পর্যায়ে আশাশুনি থানা থেকে এসআই রিয়াজ, এএসআই কওছার ও দু’জন কনস্টেবল ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘটনার ক্লু উদ্ধারে দৌড়-ঝাঁপ
শুরু করে। এ সময় স্থানীয়দের কানাকানি করতে দেখা যায়। তারা বলতে থাকে ঘটনার সাথে সাথেপুলিশ এসছে। কোননা কোন পক্ষ পুলিশকে আগ থেকেই জানিয়ে ছিল ঘটনা ঘটবে। উল্লেখ্য, কূল্যা ইউনিয়নের দশটিরও অধিক সিন্ডিকেট আছে যারা ডলার দেয়ার নামে প্রতারনা করে মানুষের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে আসছে দু’যুগ ধরে। স্থানীয় থানা পুলিশের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা এসব অপরাধীদের কাছ থেকে মাসোয়ারা নিয়ে থাকে।
এব্যাপারে আশাশুনি থানার অফিসার ইনচার্জ জানান, মৌখিক অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ যায়। তবে এখনও কোন অভিযোগ পাইনি। তিনি যোগ করে বলেন, নেপথ্য গডফাদারদের আমরা আইনের আওতায় নিয়ে আসবো।’