
সচ্চিদানন্দদেসদয়,আশাশুনি থেকে: আশাশুনি উপজেলা উপজেলা ১১টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। এই উপজেলায় প্রায় তিন লাখের অধিক মানুষের মানুষের বসবাস। এর মধ্যে বিপুলসংখ্যক লোক কৃষি ও মাছ চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। তবে প্রাণঘাতী (কোভিড-১৯) করোনারভাইরাস সংক্রমনের আতঙ্কে থমকে গেছে মানুষের দৈনিন্দন কর্মযজ্ঞ। বন্ধ করে দেয়া হয়েছে অনেক প্রতিষ্ঠান। কৃষক শ্রমিক এখন বেকার হওয়ার উপক্রম হয়ে পড়েছে। পরিবারের সদস্যদের মুখে খাবার তুলে দিতে অনেকেই দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। এতে জীবিকার তাগিদে অনেকেই কাজের সন্ধানে বিভিন্নস্থানে ঘুরাঘুরি করছেন। অনেকেই এখনো পায়নি সরকারের কোনো ত্রাণ সহযোগিতা। জীবিকার তাগিদে বাইরে বের হলেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বাঁধার মুখে পড়ছেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সবাইকে মাইকিং করে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার অনুরোধ করা হচ্ছে। উপজেলা জুড়েই চলছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। সম্প্রতি আশাশুনির বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এ চিত্র চোখে পড়েছে। কাদাকাটি, দরগাপুর, শোভনালী এলাকায় বেশ কিছু শ্রমিক বলেন, তাদের সঞ্চিত অর্থ ক্রমেই শেষ হয়ে আসছে। সংসার চলবে কীভাবে এমন দুচিন্তা তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে সহযোগিতা কোন পায়নি বলে জানান। স্থানীয় ইজিবাইক চালক, মটরসাইকেল চালক, কৃষিশ্রমিক, মৎস্য শ্রমিক এখনো অনেকে পায়নি কোন ত্রাণ সামগ্রী। উপজেলার সব ইউনিয়নে গ্রাম্য বাজার গুলোতে দোকানপাট এখন স্বাভাবিকভাবে খুলছে না ,অনেক দোকান এখনও বন্ধ রয়েছে। ফলে এলাকার খেটে খাওয়া মানুষের দৈনিন্দন আয়ও থমকে গেছে। সবার মাঝে এক অজানা আতঙ্ক। তারপরও পুলিশের সদস্যরা মাইকিং করে সবাইকে সামাজিক ব্যবস্থা বজায় রেখে চলাচল করার নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছেন। অকারনে বাইরে ঘোরাফেরা না করার জন্য আহবান করা হচ্ছে। ব্যস্ততম বড়দল বাজারে গিয়ে দেখা গেলো প্রায় থমথমে এক নিস্তব্ধ পরিবেশ। প্রতিদিনকার ব্যস্ততম এই বাজারে সরকার নির্ধারিত কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ব্যতিত অন্য দোকানপাট বন্ধ আছে। তারপরও কাজের সন্ধানে বাইরে বের হয়ে অনেকেই পুলিশের বাঁধার মুখে পড়ছেন। মানুষকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলাচল করতে মাইকে অনুরোধ করা হচ্ছে। কোনো অবস্থাতেই যেন লোক সমাগম হতে না পারে সে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। বেউলা গ্রামের ভ্যানচালক জানান, মাত্র ৯০ টাকা আয় করেছি। এতে আমার সংসার চলবে না। আগে এই সময়টাতে ৩০০ থেকে ৪০০টাকা আয় করতে পারতাম। এখন তা হচ্ছে না। জনসমাগম ঠেকাতে এবং অন্য এলাকার লোকজন যাতে আমাদের এলাকায় না আসতে পারে সে ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহন করছেন উপজেলা প্রসাশনের পক্ষ থেকে।